ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

চুয়াডাঙ্গা থেকে আসাদ জামান

‘যোগ্য লোকের পক্ষ নেব’

আসাদ জামান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৫
‘যোগ্য লোকের পক্ষ নেব’ ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চুয়াডাঙ্গা থেকে: ‘ধানের শীষ, নৌকা বা মোবাইল বলে কোনো কথা নেই। আমরা যোগ্য লোকের পক্ষ নেব।

যে যোগ্য, ভোট তারেই দেব। ’
 
চুয়াডাঙ্গা সদর পৌরসভার কেদারগঞ্জ এলাকায় চায়ের দোকানে বসে কথাগুলো বলছিলেন আবুল কালাম আযাদ।
 
আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে মাহফুজুর আহমেদ, মতিয়ার রহমান, জাহাঙ্গীর হোসেনের ভাবনা একই রকম মনে হলেও অল্প সময়ের কথোপকথনে কে কোন প্রতীকে ভোট দেবেন সে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেল।
 
চায়ের কাপে শেষ চুমুক দিয়ে আবুল কালাম আযাদের স্বগোতক্তি- ‘এখানে নৌকার কোনো খানা নেই। ধানের শীষেও কোন্দল আছে। এবার এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপুর মোবাইল মার্কাই জিতে যাবে। ’

নৌকা-ধানের শীষ বাদ দিয়ে ‘মোবাইল’ কেন?- এবার আবুল কালাম আযাদের পরিষ্কার উত্তর, ‘ধানের শীষ, নৌকা বা মোবাইল বলে কোনো কথা নেই। আমরা যোগ্য লোকের পক্ষ নেব। যে যোগ্য, ভোট তারেই দেব। ’
 
আযাদের মুখের কথা কেড়ে নিয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বিএনপির মধ্যে কিছু গ্রুপিং আছে। দলীয় কোন্দল মিটিয়ে ঠিক মতো মাঠে নামতে পারলে মোবাইল উঠতে পারবে না। ধানের শীষ বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ’
 
তাহলে কি এখানে ধানের শীষ আর মোবাইলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে- পাশে বসা মতিয়ার এবার বলা শুরু করেন, ‘নৌকার কোনো আওয়াজ নেই। যিনি মোবাইল মার্কায় দাঁড়াইছেন, তিনিও আওয়ামী লীগের লোক। তিনিই যোগ্য। ভোট তিনিই পাবেন। তার ফাইট হতে পারে ধানের শীষের সঙ্গে। ’
 
কেদারগঞ্জের ফিরোজ রোডের চায়ের দোকানে এই ভোটের উত্তাপের রেশ ধরে খবর নিয়ে জানা যায়- চুয়াডাঙ্গা সদর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন রিয়াজুল জোয়াদ্দার টোটন। জাতীয় সংসদের হুইপ সোলাইমান হক জোয়াদ্দার সেলুনের ছোট ভাই টোটন নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। একই দল থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু।
 
অন্যদিকে বিএনপির রয়েছে একক প্রার্থী। ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা।
 
সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় বিএনপি প্রার্থী ভোটযুদ্ধে কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন। তবে দলীয় কোন্দল ও বিভাজনের কারণে খুব সহজে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া বিএনপি প্রার্থীর জন্য সহজ হবে না।
 
তবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায়, কোন্দল মিটিয়ে মাঠে নামতে পারলে বিএনপির সমূহ সম্ভাবনা আছে বলে সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন।
 
অন্যদিকে বর্তমান মেয়র আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রিয়াজুল জোয়াদ্দার টোটন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনাকে ভোটযুদ্ধে পরাস্ত করে ফের মেয়র হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৫
এজেড/এমজেএফ

** আওয়ামী লীগ ৪, বিএনপি ১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।