ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

কুসিক নির্বাচনে ব্যয় গরমিলে সাত বছর পর্যন্ত জেল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০১৭
কুসিক নির্বাচনে ব্যয় গরমিলে সাত বছর পর্যন্ত জেল

ঢাকা: সদ্য অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের যথাসময়ে যথাযথভাবে ব্যয়ের হিসাব দিতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ব্যয়ের হিসাব নির্বাচনের সাতদিনের মধ্যে এবং নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশিত হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে।

ইসির উপ-সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান ইতোমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দীন মণ্ডলের কাছে ওই নির্দেশনা পাঠিয়ে তা প্রার্থীদের অবগত করার জন্য বলেছেন।
 
সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালার ৪৯ বিধি অনুযায়ী, কুসিক নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৫ লাখের কম হওয়ায় নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সর্বোচ্চ নির্বাচনী ব্যয় ১৫ লাখ টাকা।

আর ব্যক্তিগত ব্যয়সীমা ৭৫ হাজার টাকার।

এক্ষেত্রে নবনির্বাচিত মেয়র বিএনপির প্রার্থী মো. মনিরুল হক সাক্কু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মামুনূর রশীদ এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসসির প্রার্থী শিরিন আক্তারের ব্যয় কোনোভাবেই ১৫ লাখ ৭৫ হাজারের বাইরে যেতে পারবে না। নির্বাচনী ব্যয় ১৫ লাখ টাকা একটি নির্দিষ্ট ব্যাংক হিসাব থেকে নির্বাচনী এজেন্টের মাধ্যমে ব্যয়ের বিধান রয়েছে। যা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রতিটি ব্যয়ের বিবরণীসহ বিল, ভাউচার ও ব্যাংক স্টেটমেন্টসহকারে জমা দিতে হবে। আর ব্যক্তিগত ব্যয়ের হিসাবও সুনির্দিষ্টভাবে বিল আকারে এজেন্টের মাধ্যমে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে।
 
এদিকে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪০ প্রার্থী ও সাধারণ আসনের ১১৪ জন প্রার্থীকে একই নিয়মে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হবে। তবে ভোটার সংখ্যার আধিক্যভেদে সর্বনিম্ন ১ লাখ ১০ হাজার টাকা থেকে সাড়ে ছয় লাখ ব্যয় করতে পারেন।
 
এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দীন মণ্ডল বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ব্যয়ের হিসাব হলফনামাসহ যথাযথভাবে দাখিল করতে হবে। বিধিমালা ৪৯ বিধি মানা না হলে আইনে ন্যূনতম ৬ মাস থেকে ৭ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। প্রার্থীদের এ বিষয়ে অবগত করা হয়েছে।

গত ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত কুসিক নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী মো. মনিরুল হক সাক্কু ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ৬৮ হাজার ৯৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে আঞ্জুম সুলতানা ৫৭ হাজার ৮৬৩ ভোট পেয়েছেন। আর জেএসডির প্রার্থী শিরিন আক্তার তারা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৮৩ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মামুনূর রশীদ টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৬৬ ভোট।
 
সিটি কপোরেশন নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, নির্বাচনে দেওয়া ভোটের আট ভাগের একভাগের কম ভোট পেলে সেই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। কুসিক নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ২৭ হাজার ৮৬০ জন ভোটার। অর্থাৎ ১৫ হাজার ৯৮৩ ভোটের কম পাওয়ায় মামুনূর রশীদ ও শিরিন আক্তারের জামানত বাতিল হয়েছে।
 
নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো সিটি করপোরেশনে ভোটার সংখ্যা ২০ লাখের কম হলে মেয়র প্রার্থীদের ৫০ হাজার টাকা এবং ২০ লাখের বেশি ভোটার হলে ১ লাখ টাকা জামানত দিতে হয়। অর্থাৎ ওই দুই প্রার্থীর ৫০ হাজার টাকার জামানত বাতিল হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৭
ইইউডি/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।