জানা গেছে, ৩৫ লাখ নতুন ভোটার অন্তর্ভূক্তির লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করছে ইসি। এজন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ কোটি ৪৮ লাখ ৩৭ হাজার ৫৬৬ টাকা।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, ফরম ও আনুষঙ্গিক মুদ্রণ, যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, প্রচারণা, কর্মকর্তা সমন্বয় সভা, ডাক-তার ও আনুষঙ্গিক খরচ, বাড়িবাড়ি যেতে তথ্য সংগ্রহকারী-সুপারভাইজার ও যাচাইকারীদের সম্মানী, আপ্যায়ন ও টেলিফোন, প্রশিক্ষণ, নিবন্ধন কেন্দ্রের খরচ, অতিরিক্ত পরিশ্রম ভাতা ইত্যাদি খাতে এ ব্যয় হবে।
এসব খাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যয় ধরা হয়েছে প্রশিক্ষণ খাতে। ২১ কোটি ৩৪ লাখ ৩৬ হাজার ৯৫৪ টাকা এ খাতে ব্যয় করা হবে। অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক ব্যয় প্রশিক্ষণের পেছনেই হবে।
ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় তথ্য সংগ্রহকারী, সুপারভাইজার ও যাচাইকারীদের প্রশিক্ষণ দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যদিও আগে কাজ করেছেন এমনদেরই নিয়োগ দেওয়া হয়। তাই বারবার প্রশিক্ষণ দিয়ে বিরাট অংকের টাকা অপচয় করার কথাও বলছেন খোদ ইসির অনেক কর্মকর্তা।
২৫ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য বাড়িবাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি। দাবি, আপত্তি নিষ্পত্তির পর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে একই বছর ৩১ জানুয়ারি।
দেশে বর্তমানে ভোটার রয়েছেন ১০ কোটি ১৮ লাখ ৪৩ হাজার ৬৬৭ জন।
এবার তথ্য সংগ্রহকারীদের সম্মানী ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা করা হয়েছে। আর মৃত ভোটারের তথ্য সংগ্রহের জন্য সম্মানী ১০ টাকা থেকে ২০ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১২০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৭
ইইউডি/জেডএস