কিশোরগঞ্জ: দশম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে কিশোরগঞ্জ জেলায় কয়েকটি কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা ও কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করা হয়েছে। এসময় কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়।
এদিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের কাটাবাড়িয়া এ আর খান উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
এছাড়া বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া শন্তিপূর্ণ ও উৎসবমূখর পরিবেশে কিশোরগঞ্জ সদর, নিকলী ও কুলিয়ারচর উপজেলার মোট ২৩টি ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুপুর দেড়টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের কাতিয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করা হয়। এ সময় বেশ কয়েকজন গ্রাম পুলিশ ও আনসার সদস্যকে আহত করে প্রিজাইডিং অফিসারের কক্ষে হামলা চালানো হয়। প্রিজাইডিং অফিসার মো. সেলিম রেজা ভোটগ্রহণ বন্ধ করে কক্ষে অবস্থান নেন। খবর পেয়ে পুলিশ কেন্দ্রটিতে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা মোট ১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ৩০ মিনিট পর দুপুর ২টা ৫মিনিটে কেন্দ্রটিতে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু করা হয়।
অপরদিকে দুপুর ২টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের কলাপাড়া হাজী আব্দুল গফুর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে জোর করে ব্যালট পেপারে সিল মারাকে কেন্দ্র করে প্রায় ৩০ মিনিট ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে। এ সময় প্রিজাইডিং অফিসার মো. জহিরুল ইসলাম ভূঞা বেশ কিছু ব্যালট পেপার ছিড়ে ফেলেন। এ ঘটনায় কেন্দ্রের বাহিরে নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের প্যাড়াভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ফুটবল ও আপেল প্রতীকের মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা বেশ কয়েকবার সংঘর্ঘে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ইউপি নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে ম্যাজিস্ট্রেটসহ পর্যাপ্ত বিজিবি, র্যাব ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২১
আরএ