ভদ্রা নদীর পারে, সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে ছোট্ট একটি গ্রাম... নাম তার ‘সুতারখালি’। জলে জঙ্গলে লড়াই করে চার পুরুষের আবাদে প্রায় ১০০ পরিবারের বাস এই সুতারখালি গ্রামে।
২০০৯ সালের ২৫শে মে, রাহুলের বয়স যখন মাত্র চার ‘আইলা’ নামের এক প্রলয়ঙ্করী জলোচ্ছাস ভাসিয়ে নিয়ে যায় বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল। আর সেই দিন থেকে শুরু হয় রাখী, সৌমেন এবং রাহুলের এক অন্য জীবন।
দিন যায়, ঋতু বদলায়, সেইসঙ্গে সর্ম্পকও বদলায়। তারপরও বৃষ্টি শেষে, কোদাল হাতে বেরিয়ে আসে ওরা জীবনেরই ডাকে, জীবনকে ভালোবেসে।
রাখী, সৌমেন ও রাহুলের জীবনের এই ঘটনার বিস্তারিত মিলবে কামার আহমাদ সাইমন পরিচালিত চরকি রিলিজ ‘শুনতে কি পাও!’-তে। ৯০ মিনিটের এই কোয়াজি-ড্রামাটি ৩ নভেম্বর থেকে চরকিতে চলছে।
‘শুনতে কি পাও!’-এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়েছিল ২০১২ সালে জার্মানির লাইপশীসে ‘উদ্বোধনী রাতের ছবি’ হিসেবে। ২০১৪ সালে দেশের সিনেমা হলে মুক্তি দেওয়া হয়। এতো দিনে অনেক ফেস্টিভ্যাল ঘুরেছে। সিনেমা দ্যু রিল প্যারিসে সেরা সিনেমার পুরষ্কার গ্রাপি এবং মুম্বাই মিফে গোল্ডেন কোঞ্চের পাশাপাশি পেয়েছে আরও অনেক পুরষ্কার। এবার সেটা ওটিটি মুক্তি পেল।
এ বিষয়ে পরিচালক কামার আহমাদ সাইমন তার এক্সপেরিয়েন্স ও এক্সপেকটেশন জানান। তিনি বলেন, সিনেমার ফেস্টিভ্যাল লাইফটা অনেকটা প্রেম-পর্বের মতো। আর ওটিটিতে রিলিজ দেওয়াটা অনেকটা পাবলিক লাইফ, বলতে পারেন সিনেমার সংসার জীবন। ওইখানেই সিনেমার আসল পরিচয় পাওয়া যাবে। এখন দেখা অপেক্ষা দর্শক কীভাবে নেয়।
‘শুনতে কি পাও!’ সিনেমায় অভিনয়ে দেখা যাবে রাখী বৈদ্য, সৌমেন রায়, রাহুল রায়, দেবব্রত মণ্ডল, নিশীথ রঞ্জন মিস্ত্রী, নিরাপদ মণ্ডল, বিভূতিভূষণ মণ্ডল, মাহমুদ গাজী, মান্নান গাইন, দীপক মণ্ডল, গোবিন্দ মণ্ডল, চিরঞ্জিত মণ্ডল, শ্যামলী রপ্তান, নূপুর মণ্ডল, সুভেন ঘরামী, বিনয় বৈদ্য প্রমুখকে।
সারা আফরীনের প্রযোজনায় ‘শুনতে কি পাও!’-এর সিনেমাটোগ্রাফির কাজটা করেছিলেন পরিচালক নিজেই। সাউন্ড ডিজাইনে ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। সম্পাদনা ও কালার গ্রেডিং করেছেন সৈকত শেখরেশ্বর রায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২৩
এনএটি