ছোট পর্দার সুপারস্টার আফরান নিশো। যার নাটক মানেই মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ।
কাজের মাধ্যমেই মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন আফরান নিশো। তার ভক্ত ছড়িয়ে আছে দেশ-বিদেশে। তাকে নিয়ে সেইসব ভক্তদের বিভিন্ন রকম পাগলামি প্রায়ই চোখে পড়ে সামাজিকমাধ্যমে। তেমন এক ভক্তের পাগলামি দেখা গেল আরও একবার।
সেটি হচ্ছে- এবার আফরান নিশোর এক ভক্ত লিখেছেন খোলাচিঠি। সেই চিঠি বিশেষত্ব, প্রিয় তারকার ১৫১টি নাটক, ওয়েব সিরিজের নাম দিয়ে সাজানো।
এই অভিনেতাকে ফেসবুক চিঠিটি লিখেছেন জাকির হোসেন নামের এক ভক্ত। তার চিঠির লেখা তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য...
‘মাই ডিয়ার দাদাভাই’ আফরান নিশো
‘আমার লেখা তোমার কাছে প্রথম চিঠি’তে ‘সাদা কাগজে সাজানো অনুভূতি’গুলো ‘দি প্রেস’-এ ছাপিয়ে ‘নীল চিরকুট’-এ বাঁধিয়ে ‘সিদ্ধান্ত’ নিলাম, ‘উপহার’ হিসেবে ‘পতঙ্গ’-এর মাধ্যমে পাঠিয়ে দিব। ‘ডিয়ার বাংলাদেশ’-এর ‘এই শহরে’ আমার মতো ‘মধ্যবিত্ত’ পরিবারের ‘সহজ সরল ছেলেটা’র ‘আপন’ কোনো ভাই নেই, তাই তোমাকে ‘ভাইয়া’ বলে ডেকে ‘বুকের বাঁ পাশে’, ‘একশ আউট অব একশ’ বসিয়েছি তোমার ‘মহব্বত’-এর ‘ট্রাম্প কার্ড’ আর হয়েছি ‘মাজনু’, যা ‘যোগ বিয়োগ’ করে ‘তৃতীয়জন’কে বোঝানো যাবে না এই ‘মায়ার বাঁধন’ কেমন টানছে আমায়।
‘মিস শিউলি’র কাছে তোমার ‘একটি অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সফর’ নাটকের প্রশংসা শুনে দেখতে বসে যাই ‘নয়না’ সুন্দরী ও ‘গজদন্তিনী’। এটাই ‘শেষ দেখা’ নয়, তারপর আবার তোমার ‘গুলবাহার’, ‘ফুলমতি’ দেখে আমি ‘প্রশংসায় পঞ্চমুখ’ আর হয়ে যাই নাটকের ‘শহরে নতুন প্রেমিক’। তখন থেকেই তুমি হলে ‘প্রিয় মানুষ’। তুমি যখন ‘দ্বিতীয় কৈশোর’-এ, তখন তোমার ‘জীবন এখানে এমন’, ‘যে তুমি হরণ করো’, ‘প্রতিদিন’ মানুষের মুখে ‘মেরুন’ রঙের ‘নীল রৌদ্রের ঘ্রাণ’-এর মতো রটে তোমার প্রশংসা, যদিও তুমি অভিনেতা হতে চাওনি, হয়েছে ‘ছন্দপতন’, তোমার ‘মন বদল’ হলো জেদের বশে, তখন ‘ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প’, ‘অপেক্ষার গল্প’-এর পর আজ তুমি কোটি মানুষের ‘মনের সিগন্যাল’-এর ‘আর্টিস্ট মজনু খাঁ’।
‘আমি তোমার কথা বলবো কাকে’, সবাই তোমাকে জানে, অনেকের মনে ‘ঘৃণা’, ‘সংশয়’ ছিল; কিন্তু তোমার অভিনয়ে তাদের মনের ‘ইঞ্জিন’-এ-ও এখন ‘ভালোবাসা প্রতিদিন’ এটা ‘দ্য এন্ড অফ দ্য লাভ স্টোরি’ না। ‘লেটস ফ্লাই’ বলে অনেক ‘বাঁক’ পেরিয়ে উদ্দেশ্য বহুদূর রেখে ‘লাফ’ দিয়ে নিজেকে এগিয়ে নিয়েছ উঁচুতে। ‘বুঝতে হবে’, পিছু ‘ফেরার পথ নেই’ তোমার যেতে হবে এগিয়ে। ‘কমলা সুন্দরী’, ‘ওয়াদা’ করেছিল, সে তোমার ‘জীবনসঙ্গী’ হবে, কিন্তু হয়নি। তোমার ‘লাইফ মেট’ হয়েছে ‘আঙ্গুরবালা’ আর লায়লার সঙ্গে ‘মেট্রোপলিটন প্রেম’-এর ‘পুরনো প্রেমের গল্প’-এর ‘মেমোরিস’গুলো আর ‘শেষ চিরকুট’-এর লেখাগুলো দেখলে যদিও তাকে ‘কখনো না কখনো’ বলতে ইচ্ছে করে, ‘লায়লা, তুমি কি আমাকে মিস কর?’ তবে ‘গল্পের শেষে’, ‘শোক হোক শক্তি’, এটা মেনে নিয়ে তুমি বরাবরই নতুন চরিত্রের জন্ম দাও, ‘পুনর্জন্ম’ দাও আর সেখানে ‘জন্মদাগ’ রেখে দিচ্ছ একেকটা চরিত্রে, যা দেখে ‘আবার ভালোবাসার সাধ জাগে’ সবার মনে।
‘উচ্চতর হিসাব বিজ্ঞান’ করে দেখলাম, তুমি ‘ভিকটিম’ নও, তুমি ‘কায়াকর’, ‘কায়কোবাদ’ তোমার গল্পটা ‘আয়না রহস্য’ নয়, ‘রেডরাম’ কিংবা ‘সিন্ডিকেটে’ ডুবে থাকা নয়, গল্পটা ‘আলো ফুল ও ভালোবাসার গল্প’, তুমি ‘ভিনদেশী তারা’ নও, ‘তুমি আমারই’ এবং ‘তুমি আমাদের বকর ভাই’, তুমি ‘দ্য পেইন্টার’ দর্শকের ‘লাভ বাবু’।
‘হ্যালো শুনছেন’, চিরকাল আজ’ গুরু-ভক্তের মাঝে ‘তোমার আমার প্রেম’, ‘নামকরণ’ হোক। অভিনয় আর ‘শিল্পী’ তুমি ‘পরিপূরক’, যেটা তোমাকে দেখে জার্মান ভাষায় ‘কাইজার’ ইংরেজিতে বস আর বাংলায় ‘রাজা’ কিংবা গুরু বলতেই হয়। কারণ, তুমি ‘অভিনয়’জগতের ‘সবুজ নক্ষত্র’, যিনি ‘একাই ১০০’, প্রতিটি কাজে ‘সিগনেচার’ রেখে যাচ্ছ, তাই ‘কালারফুল’ তোমাকে সব সময় বলতে চাই, ‘স্যার, আই লাভ ইউ’ এবং বুঝিয়ে দিব, ‘তাকে ভালবাসা বলে’। আমার শখ তোমার সাথে একটা ‘অপেক্ষার ফটোগ্রাফি’, যা ‘ফটোফ্রেম’-এ বাঁধিয়ে রাখার ইচ্ছে, যার ‘শেষটা সুন্দর’ হবে।
অবশেষে হলো দেখা...‘যখন বসন্ত’, ‘সেদিন দেখা হয়েছিল’, তখন সেই ‘মুহূর্ত’ আর আমার কাঁধে আপনার ‘আশ্চর্য এক স্পর্শ’ আর ‘খোলা হৃদয়’-এর কথাগুলো আমার ভালোবাসায় মাতিয়ে দিল। আমাদের ‘বিশ্বাস’ ছিল, ‘ধূমকেতু’র মতো সিনেমায় আবির্ভাব হবে ‘অবশেষে তুমি’, ‘সিদ্ধান্ত’ নিলে এবং সবার ‘কি জানি কি হয়’ ভাবনা ভেঙে নতুন প্ল্যাটফর্মে সুন্দর ‘সংযোজন’ করেছ ‘সুড়ঙ্গ’, ‘ছবি’ দিয়ে আর সেই ‘ধার’ মানুষকে হলে নিয়ে গিয়েছে ‘রঙিন বায়োস্কোপ’ দেখতে এবং তা বক্স অফিসে ‘আগুন’ ও ওটিটিতে ‘ভিউ’-এ রেকর্ড করেছে।
‘প্রতীক্ষা’র পর আমাদের ‘ইয়েস’ বলে দ্বিতীয় সিনেমার ঘোষণা আসুক শিগগিরই, আমরা ‘ওয়েটিং’। নাটককে একদমই ‘No’ বলো না, ‘তুমি না থাকলে’, ‘শূন্যতায়’ ভরা এই প্ল্যাটফর্ম, ‘নেগেটিভ পজিটিভ’ গ্রহণ করে ‘দৃষ্টি’ উঁচুতে রেখে আপনি এগোচ্ছেন সকলের ভালোবাসার ‘শিল্পী’ হিসেবে সেখানে ‘স্বপ্নকুহক’ না হোক। ‘কতটা পথ পেরুলে’ন, সেই হিসাব তোলা থাক, ক্যারিয়ার শেষে বলতে যেন পারেন, ‘আমার একটি গল্প বলার শখ’ এবং সেটা সফলতার আর ধ্বনি উঠবে দর্শকদের উদ্দেশে ‘তবু আমারে দেব না ভুলিতে’ আর ‘তোমাকে আলো ভেবে’ অনেকেই ‘অভিনেতা’ হয়ে উঠছে, তাদের ধারা ‘অসমাপ্ত’ এই ‘টান’ চলবে যুগের পর যুগ।
আপনার ‘মুঠোফোন’-এ কল ও ‘লাভ লেটার বক্স’-এ শুভাকাঙ্ক্ষীদের ‘চিরকুট’ বাড়তে থাকুক আর তোমার জন্য আমরা সব সময় পাগল, ‘স্বপ্নে বসবাস’ আমাদের, কোনো ‘উড়াল প্রেম’ নয়, এটাকে ‘অদ্ভুত ভালোবাসা’ বলতে পারো, যদিও ‘ভালোবাসার কোনো রং থাকে না। ’ উইন অর লস ‘যাই হোক না কেন’, আমরা আপনাকে ভালোবেসে ‘ঋণী’ করে দিতে চাই সব সময়। ‘সুখপাখি’ যেন সব সময় তোমার সঙ্গে থাকে আর ‘লাভলী ওয়াইফ’ ভাবির ‘সোলমেট’ হয়ে থেকো সব সময়, কখনো ‘এক বৈশাখে’ ভাবিকে একটি রঙিন ‘শাড়ী’ আর ‘রেড রোজ’ গিফট করো। কোটি ভক্তের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলতে চাই, ‘ভালো থাকুক ভালোবাসা’ আমাদের কলিজার আফরান নিশো।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২৩
এনএটি