ঢাকা: ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের অষ্টম দিন শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ভরা অডিটোরিয়ামে দেখানো হয়েছে পদ্মমধু (এলিক্সির)।
চলচ্চিত্রটির নির্দেশনা দিয়েছেন সুস্মিতা সিনহা।
সুন্দরবনের যে মানুষজনরা এ কাহিনি চিত্রের মূল নায়ক-নায়িকা, তারা আসলে শুধু পশ্চিমবঙ্গের নন, তারা হয়তো এই বাংলাদেশের, মিয়নামারের বা শ্রীলঙ্কারও হতে পারেন। অদৃশ্য কোনো এক পদ্মমধু সেখানে মানুষের মনে আশা-ভরসার সঞ্চার করে। নাকি বেঁচে থাকাটাই পদ্মমধু, কে জানে! সেই রকম এক কাহিনি চিত্র নিয়েই নির্মিত এই পদ্মমধু (এলিক্সির)। লোকমুখে চলে আসা পদ্মমধুর সন্ধানে এগিয়ে চলে এই কাহিনি চিত্রের নাটকীয়তার বুনন।
সবমিলিয়ে অসম্ভব সুন্দর একটা জীবনবাদী গল্পের বুনোটে বাঁধেন সুস্মিতা। কাহিনি এবং চিত্রনাট্য অত্যন্ত সংবেদনশীল। সভ্যতার প্রদীপের সলতে পাকানো যে মানুষজনরা সেই প্রদীপের তলায় চাপা পড়ে থাকেন, তাদের জীবন ধারণের ন্যূনতম অধিকারটুকুও না থাকার কাহিনি নিয়েই এই ছবি। চিত্রায়ন অত্যন্ত বাস্তবধর্মী। সুগভীর চিন্তার ছাপ বহন করে। সম্পাদনার কাজও অতি সুন্দর। কারো কারো অভিনয় হয়তো বা কোথাও কোথাও আরেকটু প্রত্যাশা তৈরি করে, কিন্তু সাগ্নিক মুখোপাধ্যায়ের একইসঙ্গে কোমল এবং বলিষ্ঠ অভিনয়ে সেই ঘাটতি পুষিয়ে যায়।
২০০৩ সালে একজন সাংবাদিক এবং চিত্রনাট্যকার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন সুস্মিতা। একের পর এক বেশ কয়েকটি তথ্যচিত্রে চিত্রনাট্যকার থেকে শুরু করে সহযোগী নির্দেশক হিসেবে কাজ করেন। অনিবার্যভাবে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অধিকার, লিঙ্গ সম্পর্ক, সেই নিয়ে সামাজিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর তার কাজকর্মের মূল ফোকাস। একজন সাংস্কৃতিককর্মী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ এনজিওগুলোর সঙ্গে দীর্ঘ মেলামেশা চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে তার যাত্রাকে সমৃদ্ধ করেছে। লেখক পরিচালক হিসেবে তার সাম্প্রতিকতম ছবি ‘পদ্মমধু (এলিক্সির)’ এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হলো এই ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৪
এইচএমএস/এএটি