ভারতের ছোট পর্দার অভিনেত্রী কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায়। ‘ইয়ে হ্যায় মহাব্বতে’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
সামাজিকমাধ্যম ইনস্টাগ্রাম পোস্টে কৃষ্ণা তার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মেকআপ রুমে তাকে অসুস্থ অবস্থায় আটকে রাখা হয়েছিল। পাঁচ মাসের বেতন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক এখনো বাকি। প্রযোজকের পক্ষ থেকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে তাকে।
তিনি বলেন, সে জন্যই এত দিন মুখ বুঝে ছিলেন। ভাবতেন, আবার যদি তার সঙ্গে একই ঘটনা ঘটে। নতুন কাজের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতেও ভয় পান কৃষ্ণা। একা একাই ঘরে কেঁদেছেন।
এ প্রসঙ্গে কৃষ্ণা আরও বলেছেন, আমি আগে মনের ভেতর জমে থাকা কথাগুলো বলার জন্য সাহস পাইনি। কিন্তু আজ সব বলব। আমি একটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। গত এক থেকে দেড় বছর জীবনে অনেক কিছু সহ্য করেছি। যেগুলো আমার জন্য একেবারেই সহজ ছিল না। ভেঙে পড়েছি। যখন একা থাকি, তখন প্রচণ্ড কান্না পায়। এসব কিছুর সূত্রপাত আমার শেষ শো “শুভ সগুনের” সেট থেকে। এটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে ভুল পদক্ষেপ।
কৃষ্ণা আরও বলেছেন, আমি এই শো করতে চাইনি। কিন্তু সবার কথা শুনে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছি। প্রযোজনা সংস্থা ও প্রযোজক কুন্দন সিং আমাকে একাধিকবার সমস্যায় ফেলেছেন। এমনকি আমাকে একটা দিন মেকআপ রুমে আটকে রাখা হয়েছিল। সেদিন আমার শরীর ভালো ছিল না। বলেছিলাম, শুটিং করতে পারব না। তা ছাড়া সেই সময় আমার অনেকগুলো বকেয়া টাকাও ছিল। মেকআপ রুমে এত জোরে ধাক্কা মেরেছিল যেন মনে হচ্ছিল ভেঙে যাবে। সেই মুহূর্তে আমি পোশাক বদলাচ্ছিলাম।
বকেয়া টাকার বিষয়ে কৃষ্ণা অভিযোগ করে বলেছেন, পাঁচ মাসের টাকা পাইনি। ওদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি কিন্তু কোনো উত্তর দেয়নি। তবে বহুবার হুমকি পেয়েছি। আমি ন্যায়বিচার চাই।
কৃষ্ণার পোস্টে অনেকেই সহমর্মিতা জানিয়েছেন। তবে অভিযুক্ত প্রযোজকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
এনএটি