ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

‘সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ’র ডাকে সাড়া দেয়নি কেউ!

বিনোদন প্রতিবেদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২৪
‘সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ’র ডাকে সাড়া দেয়নি কেউ!

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে গোটা দেশ এখন দু’ভাগে বিভক্ত। একদল আন্দোলনের পক্ষে তো আরেকদল সরকারের পক্ষে।

গোটা দেশজুড়েই চলছে পক্ষে-বিপক্ষে প্রতিবাদ। সকল ধরনের হত্যা এবং সহিংসতার বিপক্ষে ‘আমরা সর্বদাই শান্তির পক্ষে’-স্লোগানে ব্যানার হাতে শনিবার (০৩ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) মানববন্ধন করেছে ‘সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ’। এসময় তারা নিহত সকলের আত্মার মাগফেরত কামনা করেন। সেই সঙ্গে কোমলমতি মেধাবী ছাত্রদের আন্দোলন ছিনতাই করে তৃতীয় পক্ষের সহিংসতার নিন্দা জানান।

এই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের আহ্বায়ক খোরশেদ আলম খসরু, অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান, রোকেয়া প্রাচী, অরুণা বিশ্বাস, রত্না, প্রযোজক আলিমুল্লাহ খোকন, সঙ্গীতশিল্পী-পরিচালক এসডি রুবেল, পরিচালক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, বজলুর রাশেদ চৌধুরী, এস এ হক অলিক, মোস্তাফিজুর রহমান মানিক প্রমুখ।

হত্যাকে সমর্থন করেন না জানিয়ে খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘ছাত্রদের আন্দোলনে আমাদের সর্মথন ছিল ও আছে। ছাত্ররা যা চেয়েছিল তার চেয়ে বেশি পেয়েছে। তবে ছাত্র আন্দোলন এখন আর ছাত্রদের হাতে নেই। এটি এখন তৃতীয় পক্ষের হাতে চলে গেছে। এরপর থেকে ধ্বংসের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আর ছাত্র আন্দোলন নেই। তাই চলচ্চিত্রে সূতিকাগার থেকে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মানবন্ধন করছি। এই দেশে আমরা শান্তি চাই। চলচ্চিত্র পরিষদ সবসময় শান্তির পক্ষে। ’

হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার কামনা করে অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে আজ ছাত্রদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে চক্রান্ত করে রাষ্ট্রের সম্পদ নষ্ট করছে একটি মহল। তাদের আমরা আপনারা সবাই চিনি। এই সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সাংবাদিক-পুলিশ কেউই। কোটা আন্দোলনের দাবিতে সত্যিকারের ছাত্ররা যারা রাস্তায় আছেন তারা এই দায় নেবেন না। আপনাদের আন্দোলনকে ছিনতাই করে একদল রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে চায়, বিদেশ থেকে চক্রান্ত হচ্ছে। এই ফাঁদে পা দেবেন না। তারা বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিতে চায়। যারা বাংলাদেশে হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংস করতে চায় তাদের হাতের পুতুল আপনারা (শিক্ষার্থীরা) হবেন না। তাই অভিভাবকদের অনুরোধ করব আপনার সন্তানদের ঘরে ফিরিয়ে নেন। ’

‘সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ’-চলচ্চিত্রের ১৯ সংগঠনের একটি প্ল্যাটফর্ম। তবে এই মানববন্ধনে হাতেগোনা কয়েকজন প্রযোজক, পরিচালক, অভিনয়শিল্পী ছাড়া অধিকাংশ ছিল অপরিচিত মুখ। দেখা যায়নি বাকি সংগঠনের কাউকেই। এ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

বলে রাখা ভালো, চলচ্চিত্র সম্মিলিত পরিষদের ১৯টি সংগঠন হলো—চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, চলচ্চিত্র গ্রাহক সমিতি, চলচ্চিত্র সহকারী পরিচালক সমিতি, ফিল্ম এডিটরস গিল্ড, চলচ্চিত্র উৎপাদন ব্যবস্থাপক সমিতি, চলচ্চিত্র নৃত্য পরিচালক সমিতি, চলচ্চিত্র লেখক সমিতি, স্থিরচিত্র গ্রাহক সমিতি, চলচ্চিত্র রূপসজ্জাকর সমিতি, চলচ্চিত্র অঙ্গসজ্জাকর সমিতি, চলচ্চিত্র উৎপাদন সহকারী ব্যবস্থাপক সমিতি, মারপিট সমিতি, চলচ্চিত্র শিল্প নির্দেশক সমিতি, চলচ্চিত্র লাইট সরবরাহ মালিক সমিতি, চলচ্চিত্র সহকারী চিত্রগ্রাহক সমিতি, ফিল্ম ক্লাব এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২৪ 
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।