কলকাতা: মৃত মাকে বাড়িতে রেখেই ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সংহতি জানাতে সহকর্মীদের সঙ্গে রাস্তায় নেমেছেন পরিচালক-অভিনেতা কৌশিক গাঙ্গুলী।
সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী অভিনেত্রী চূর্ণী গাঙ্গুলী এবং ছেলে উজান গাঙ্গুলী।
কৌশিক গাঙ্গুলি বলেন, মাকে হারিয়েছি। এই মুহূর্তে তার দেহ রাখা আছে বাড়িতে। তবুও আমরা এখানে এসেছি। মানুষের পাশে থাকা, এই শিক্ষাই আমাকে বড় করেছে। আমাদের পরিবারও এরকম। এখান থেকে ফিরেই মায়ের সৎকার করব। বহু মানুষ এখানে এসেছে। আমরা থাকবো সেই বিশ্বাসে।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা যাতে স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারি সেটাই চাই। আসলে খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আজকে অনেক কলাকুশলীদের এখানে আসতে দেওয়া হয়নি। তাদের ফোন করে আসতে বারণ করা হয়েছে। সেই প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। ফলে অনেকেই মানসিক দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে আসতে পারেনি। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। রাজনৈতিকরা বোঝেন না টালিগঞ্জ স্টুডিও পাড়াটা একটা পরিবার? এরকম করলে, পরিবারটাই তো ভাগ হয়ে যায়। আমি বিশ্বাস করি আমাদের মুখ্যমন্ত্রীও এই ভাগ হোক বিষয়টা মেনে নেবেন না।
পরমব্রত বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ অবস্থান করব। ফলে এর মধ্যে কোনো রাজনীতির রং লাগতে দেবেন না প্লিজ। ব্যক্তিগতভাবে যে যার মতো রাজনীতি করে, কিন্তু আসলে আমরা একটা পরিবার। দশটি বাস ভর্তি করে টালিগঞ্জ থেকে আরজি কর মেডিকেল উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারকারা। সেখানেই তারা আর জি কর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসক শিক্ষার্থীদের অবস্থানে সামিল হন।
মূলত, টালিগঞ্জ স্টুডিও পাড়া অলিখিতভাবে শাসন করে মমতার মন্ত্রিসভার বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপ বিশ্বাস। কৌশিকের কথামতো সম্ভবত সেখান থেকেই আসতে নিষেধ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে কাজ হারাতে পারে এই ভয় অনেকেই পথে নামেননি।
রোববার ‘চলচ্চিত্র পরিবার’ শিরোনামে টালিগঞ্জের অভিনেতা, অভিনেত্রী, টেকনিশিয়ান সকলেই পথে নামেন। চোখে পড়ে পরমব্রত, পাওলি, পরিচালক অরিন্দম শীল, শাস্বত, অঙ্কুশ, ঋত্বিক চক্রবর্তী, গায়িকা ইমন, পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ও তার স্ত্রী অভিনেত্রী শুভশ্রীসহ এক ঝাঁক কলাকুশলী। চোখে পড়েনি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সোহম চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিক, জুন মালিয়াদের মতো তারকাদের। পথে না নামা তালিকার মধ্যে একমাত্র রচনা সংসদ সদস্য। বাকিরা তৃণমূল টিকিটে জয়ী বিধায়ক।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২৪
ভিএস/এমজে