যে দোকানটার কপালে বড় বড় করে লেখা ‘আলম অটোমোবাইল’, তার ওপরে বাংলা ছবির বিলবোর্ড। সামনে রাজনৈতিক অফিস।
এ বাজারে ব্যাকগ্রাউন্ডে অর্নবের গান বাজে। ছাপিয়ে হাটুরেদের কোলাহল তীব্র হয়। তবে সবই নিয়ম অনুসারে। যখন মাইকে ঘোষণা আসে ‘সবাই হাঁটো, বাজার করো’, তখন সবাই ভীড় করে হাঁটে। জিনিসপত্রের দামদর করে। যখন বলা হয় ‘কাট্, থামো এখন’; তখন সবাই চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে এক কোনে।
হয় নাকি এমন? হতেই পারে। এ বাজার ইচ্ছেমতো চালানো যায়, থামিয়ে দেয়া যায়; ভেঙ্গেও দেয়া যায়। মজার না? সাজানো বাজার বলে কথা! অথচ দেখে কিন্তু একেবারেই কৃত্রিম বলে মনে হয় না। নিত্য প্রয়োজনীয় সব জিনিসই মজুদ। নকল নয়, একেবারে আসল। যদি রাজধানীর তেজগাঁওয়ের কোকস্টুডিওতে না হয়ে, এটি শহরের কোনো মোড়ে বসতো, নির্ঘাৎ ভীড় লেগে যেতো। লোকজন গাড়ি থামিয়ে, রিক্সা থামিয়ে, কেনাকাটা করতে লেগে পড়তো। এতো আয়োজন ‘আয়নাবাজি’র জন্য।
অমিতাভ রেজার ছবি। এ ছবি এমন এক শহরের গল্প বলছে, যেখানে নাগরিক ঝঞ্চাট এখনও পাত্তা পায়নি খুব একটা। এখনও জীবনযাত্রা চলে সরলরেখায়। এ রকম একটি শহরই ‘আয়নাবাজি’তে আছে। আর আছে আয়না ও হৃদি। চঞ্চল চৌধুরী ও মাসুমা রহমান নাবিলা। বাজারে তারাও ঘুরছিলেন ওইদিন। দেখা হয়ে যাচ্ছিলো, গল্প হচ্ছিলো। ক্যামেরা অনুরসরণ করছিলো তাদেরকে।
যে দৃশ্য এতোক্ষণ ধরে বলা হচ্ছে, সেটা ৫ আগস্টের। ‘আয়নাবাজি’র কাজ শুরু হয়েছে আরও আগে। এখন শেষ দিকে প্রায়। আগস্ট শেষ হলেই, দৃশ্যধারণও শেষ হবে; এমনটাই কথা। ‘আয়নাবাজি’র কাহিনী লিখেছেন সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন, চিত্রনাট্য অনম বিশ্বাসের। তিনি ও আদনান আদীব খান দু’জন মিলে সংলাপ লিখেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৫
কেবিএন