বহুমাত্রিক শিল্পস্রষ্টা আব্দুল্লাহ আল-মামুন। তিনি নাট্যকার, অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা।
তার ৭৩ তম জন্মবার্ষিকী ছিলো ১২ জুলাই। কিন্তু ওইদিন পালন না করে ৭ আগস্ট জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে দলটি। এতে মঞ্চস্থ হবে ‘মেরাজ ফকিরের মা’। আব্দুল্লাহ আল-মামুন রচিত ও নির্দেশিত নাটক এটি। ওইদিন নাটকটির ১৫৮তম প্রদর্শনী।
৭ আগস্ট সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালায় হবে প্রদর্শনীটি। এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টায় স্মারক বক্তৃতা করবেন ড. সৈয়দ মন্জুরুল ইসলাম। বক্তৃতার বিষয়- ‘আব্দুল্লাহ আল-মামুন ও আমাদের সময়ের নাটক। ’
বাংলাদেশের মঞ্চনাটক জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে আবদুল্লাহ আল-মামুন পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেছেন। তার রচিত নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘সুবচন নির্বাসনে’, ‘এখন দুঃসময়’, ‘সেনাপতি’, ‘এখনো ক্রীতদাস’, ‘কোকিলারা’, ‘স্পর্ধা’, ‘মেরাজ ফকিরের মা’ প্রভৃতি। তার হাত ধরেই বাংলাদেশ টেলিভিশন এগিয়েছে অনেকটা পথ। আব্দুল্লাহ আল-মামুন প্রযোজিত ধারাবাহিক নাটক ‘সংশপ্তক’ বাংলাদেশ টেলিভিশনের ইতিহাসে অন্যতম জনপ্রিয় নাটক। তার নির্মিত চলচ্চিত্রের মধ্যে ‘সারেং বৌ’, ‘সখী তুমি কার’, ‘এখনই সময়’, ‘জোয়ার ভাটা’, ‘শেষ বিকেলের মেয়ে’ এখনও প্রশংসিত।
আবদুল্লাহ আল-মামুন নিজ শিল্পকর্মের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন অসংখ্য জাতীয় পুরস্কার। তার মধ্যে রয়েছে প্রথম জাতীয় টেলিভিশন পুরস্কার (১৯৭৮), বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৭৯), অগ্রণী ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮২)। তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন দু’বার। পুরস্কার পেয়েছেন সেরা কাহিনী-চিত্রনাট্যকার হিসেবেও। ২০০০ সালে তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৫
কেবিএন