৪০ বছর কেটে গেছে। গাব্বার এখনও পুরনো হননি।
আমজাদ খান সেই বিরল অভিনেতা। ‘গাব্বার’ থেকে ‘নবাব ওয়াজেদ আলী শাহ’- ভিলেন থেকে কমেডিয়ান- তিনিই হয়ে দেখিয়েছিলেন। পুরোপুরি সফলভাবে। অভিনয় জীবন এবং ব্যক্তিজীবন- দু’ক্ষেত্রেই তিনি সফল জীবন কাটিয়েছেন। কিন্তু গাব্বার সিংয়ের সঙ্গে যতোটা কাছাকাছি ওঠাবসা মানুষের, ব্যক্তি আমজাদ খানের সঙ্গে কি ততোটা? কতোটা জানে মানুষ আমজাদ খানের ব্যক্তিজীবন সম্পর্কে?
এবার জানবে। পুরোপুরি, এবং খুব নিখুঁতভাবে। আমজাদ খানকে আবার ফিরিয়ে আনবেন তারই ছেলে সাদাব খান। প্রয়াত এ অভিনেতার পেশাদার এবং ব্যক্তিগত জীবনের যাবতীয় ঘটনা নিয়ে বই লিখবেন তিনি। ঘোষণাটা এমন সময় এলো, যখন ‘শোলে’র বয়স চল্লিশ পূর্ণ হলো।
সাদাব খান বলছেন, ‘পরের বছর থেকে এই বই লেখা শুরু করবো। বাবার মতো একজন ডাউন টু আর্থ মানুষের কথা সবার জানা উচিত। ’ মানুষ হিসেবে আমজাদ খান কেমন ছিলেন, গাব্বারের মতোই বদমেজাজী নাকি দিলখোলা? সবই জানা যাবে সাদাবের বয়ানে।
প্রায় দু’দশকের অভিনয় জীবনে আমজাদ প্রায় ১৩০টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। যার মধ্যে ‘মুকাদ্দার কা সিকান্দার’, ‘ইয়ারানা’, ‘বারসাত কি এক রাত’, ‘দেশ পরদেশ’, ‘নাস্তিক’, ‘সত্তে পে সত্তে’, ‘দাদা’, ‘লাওয়ারিশ’, ‘গঙ্গা কি সুগন্ধ’, ‘হাম কিসিসে কাম নাহি’ এসবের নাম ঘুরেফিরে আসে বারবার।
আমজাদের পুত্র সাদাব নিজেও অভিনয় করেছেন। ১৯৯৭ সালের ‘রাজা কি আয়েগি বারাত’ ছবিতে রানী মুখার্জীর নায়ক হয়েছিলেন তিনি।
আমজাদ খানের জন্ম ১৯৪০ সালের ১২ নভেম্বর, পেশোয়ারে। ৫১ বছর বয়সে তিনি মারা যান ১৯৯২ সালের ২৭ জুলাই, মুম্বাইয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৫
কেবিএন/জেএইচ