লাল ইটের ভবনটার নাম ‘পেয়ারাতলা কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ’ চুয়াডাঙ্গার জীবননগর।
খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে কর্মসূচি শুরু করেছেন আমিন খান। শুরুতে এটি ছিলো ভার্চুয়াল, এরপর ছড়িয়ে গেছে পথে-প্রান্তরে। গতকাল শনিবার (২২ আগস্ট) মিশনটা শুরু হয়েছে চুয়াডাঙ্গা থেকে। আমিন খান বাংলানিউজকে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন, ‘বাচ্চাদের ভেতরে ব্যাপারটা নিয়ে এতো উৎসাহ দেখেছি! তারা খুবই স্বতস্ফূর্তভাবে আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। বিকেলে সেখান থেকে আরেক জায়গায় গেলাম, সাত-আট হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলো সেখানে। এই যে সবার ভেতরে খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে সচেতনতাটা বৃদ্ধি করতে পারছি, সেটা খুবই ভালো লাগছে। ’
আমিন খান শুরুতেই বলে নিয়েছেন, ‘এটা একা আমার, ব্যক্তি আমিন খানের কাজ নয়। আমাদের সবার। সবাই মিলে এ আন্দোলনটা করতে হবে। ’ ২২ আগস্টের ওই চুয়াডাঙ্গা সফর দিয়ে আন্দোলনটি শেষ হচ্ছে না, শুরু হলো কেবল। তিনি জানালেন, দুই বছরের একটি পরিকল্পনা নিয়েছেন তারা। বলছেন, ‘আমরা কাউকে জোর করছি না। এমনও না যে, যারা খাদ্যে ভেজাল দিচ্ছে তাদেরকে গিয়ে ধমক দিচ্ছি। আমরা সবাইকে সচেতন করছি। বোঝাচ্ছি। বাংলাদেশের মানুষ, খুবই সহজ-সরল, ভালোভাবে ব্যাপারটা বোঝাতে পারলে, নিশ্চয়ই বুঝতে পারবে। খাদ্যে ভেজালও কমে আসবে। ’
আগামী ২৭ আগস্ট একই উদ্দেশ্যে আমিন খান যাচ্ছেন নিজের জেলা শহর খুলনায়। সেখানকার খালিশপুরে ভেজালমুক্ত খাদ্যের পক্ষে কথা বলবেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৫
কেবিএন/জেএইচ