কন্টাক্ট লেন্স পরার কারণে কর্নিয়া মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলো অভিনেত্রী প্রিয়া আমানের। স্থায়ীভাবে দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশংকাও করছিলেন।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়ম করে চেকআপ করছেন। ৯ নভেম্বর বিকেলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘কর্নিয়া রিকভার করা গেছে। গতকালও গিয়েছিলাম ডাক্তারের কাছে। আমাকে অনেক পাওয়ারফুল চশমা দিয়েছেন। সেটাই পরছি সবসময়। ’
গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পান্থপথের ইউটিসি ভবনে ‘ইয়েস ম্যাডাম, নো স্যার’ ধারাবাহিকের দৃশ্যধারণে অংশ নেন প্রিয়া। চোখে ব্যবহার করেন কন্টাক্ট লেন্স। রাতে দৃশ্যধারণ শেষে ফেরার পথে সিএনজি চালিত অটোরিকসার মধ্যে লেন্স খোলার পরই চোখে শুরু হয় অসহ্য যন্ত্রণা। এরপর তাকে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ও পরে নেওয়া হয় চক্ষু হাসপাতালে। দু’টি চোখের কর্নিয়াই মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলো প্রিয়ার।
শুটিং শুরু করলেন কবে থেকে? এ প্রশ্নের উত্তরে প্রিয়া জানান, ‘সাতদিন পর থেকেই। দূর্ঘটনার পর আমি একসপ্তাহও রেস্ট নিইনি। চোখের ওই অবস্থাতেই কাজ শুরু করে দিয়েছিলাম। ’ প্রিয়া নতুন করে যুক্ত হয়েছেন পাঁচটি ধারাবাহিকে। এগুলো হলো অঞ্জনের আইচের ‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে’ ও ‘তীরন্দাজ’সহ তিনটি, সবুর খানের ‘দাগ’ এবং মাসুদ মহিউদ্দিনের ‘নির্বিকার মানুষ’।
এছাড়া সরকারি অনুদানের ছবি ‘বিজয়িনী’তে যুক্ত হয়েছিলেন প্রিয়া আমান। শর্মি আহমেদের এ ছবিটির তিনদিনের দৃশ্যধারণে তিনি অংশ নিয়েছিলেন। এটির কাজ আপাতত বন্ধ আছে বলে জানালেন প্রিয়া। ছবিটিতে তার সহশিল্পী অমিত হাসান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৫
কেবিএন