ফুসফুসে ক্যান্সার আক্রান্ত সংগীতশিল্পী লাকী আখান্দকে দ্বিতীয় পর্যায়ের চিকিৎসার জন্য আবার ব্যাংককে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গত ২৪ অক্টোবর সেখানে পৌঁছানোর পর ২৭ অক্টোবর থেকে পায়থাই হাসপাতালে তার কেমোথেরাপি শুরু হয়।
ব্যাংককে কন্যাসন্তান মাম্মিন্তির সঙ্গে সময় কাটছে লাকীর। হাসপাতালের কাছেই একটি বাসা ভাড়া নিয়েছেন তারা। এসব তথ্য জানিয়েছেন লাকীর এক সময়ের সহকারী সংগীত পরিচালক সজীব দাস। তিনি জানান, সুস্থ হয়ে লাকী আখান্দ আবার মঞ্চে গান করতে চান।
সজীব বলেছেন, ‘কয়েকদিন আগে স্যারের সঙ্গে আমার দু’দফা কথা হয়েছে। তার কথা ছিলো আশাব্যঞ্জক। নিজের সুস্থতার ব্যাপারে তার পুরোপুরি আস্থা রয়েছে। লাকী স্যার বলেছেন, সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে তিনি আবার মঞ্চে গান করবেন। আমাকে সে ব্যাপারে প্রস্তুতিও রাখতে বলেছেন। ’
লাকী আখান্দের শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটা উন্নতির দিকে। চিকিৎসকরা জানান, আগামী ছয় মাসে ছয়টি কেমোথেরাপি নিতে হবে লাকীকে। এর মধ্যে দুই দফায় একটি কেমো দেওয়া হয়েছে তাকে। ওখানকার চিকিৎসাসেবার মান ও প্রক্রিয়া নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বরেণ্য এই সুরকার।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ১ সেপ্টেম্বর ভর্তি করা হয়েছিল লাকীকে। সপ্তাহখানেক পর তার ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে। গত ১০ সেপ্টেম্বর তাকে প্রথমবার থাইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়।
সুরকার, সংগীত পরিচালক ও মুক্তিযোদ্ধা লাকী আখান্দ অসংখ্য কালজয়ী গান সুর করেছেন, গেয়েছেনও। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘আমায় ডেকো না, ‘এই নীল মনিহার, ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার, ‘মামুনিয়া, ‘লিখতে পারি না কোনো গান, ‘ভালোবেসে চলে যেও না, ‘বিতৃঞ্চা জীবনে আমার, ‘ কি করে বললে তুমি, ‘এত দূরে যে চলে গেছো’ প্রভৃতি।
* নিভৃতে দেশে ফিরেছেন লাকী আখান্দ!
* নতুন গান বাঁধছেন লাকী আখান্দ
* আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন লাকী আখন্দ
* গুরুতর অসুস্থ লাকী আখন্দ
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৫
এসও/জেএইচ