ভারতজুড়ে ক্রমবর্ধমান অসহিঞ্চুতা বিতর্কে যোগ দিলেন আমির খান। নৈরাজ্যের বাতাবরণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তার পরিবার।
গত ছয় থেকে আট মাস নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছেন আমির। সঙ্গে বেড়েছে ভয়। তার মতে, প্রত্যেক সমাজব্যবস্থায় নিরপত্তা ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত থাকা গুরুত্বপূর্ণ। সোমবার (২৩ নভেম্বর) জার্নালিস্ট অ্যাওয়ার্ডসে রামনাথ গোয়েনকা এক্সিলেন্স সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট।
সম্প্রতি অসহিঞ্চুতা বেড়ে যাওয়ায় সরকারি পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায় চিত্রনাট্যকার ও নির্মাতাদের মধ্যে। কয়েকটি দিক দিয়ে তাদেরকে সমর্থন জানালেন আমির। তিনি মনে করেন, পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে অসন্তোষ প্রকাশ হচ্ছে। ইতিহাসবিদ, বিজ্ঞানীসহ অনেক সৃষ্টিশীল মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়াশীল মনোভাব ধীরে ধীরে বেড়েছে। তাই তারা তা দেখানোর তাগিদ অনুভব করেছেন।
নিজের বক্তব্যে রাজনীতিবিদদের একহাত নিয়েছেন আমির। তিনি বলেন, ‘রাজ্য হোক বা কেন্দ্র, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে আগামী পাঁচ আমাদের দেখভাল করার জন্যই ভোট দিয়ে দিয়েছি। প্রত্যেকেরই প্রতিবাদ জানানোর অধিকার আছে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে। ’
এদিকে অসহিষ্ণুতা নিয়ে আমির মুখ খোলার পর ট্যুইটারে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। একের পর এক টুইটে তাকে কটাক্ষ করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা অনুপম খের। তিনি বলেন, ‘নৈরাজ্যের বাতাবরণ বেড়েছে বলে যে দেশ তিনি এবং তার স্ত্রী ছাড়তে চাইছেন, সেই ভারতই যে তাকে আমির খান বানিয়েছে সে কথা কি তিনি স্ত্রীকে বলেছেন? কোন দেশে যেতে চান কিরণ তা-ও কি জানতে চেয়েছেন আমির?’
‘সত্যমেব জয়তে’ অনুষ্ঠানে ভারতের বিভিন্ন সমস্যার দিকগুলো তুলে ধরে প্রশংসিত হন আমির। অনুপমের উপদেশ, বলিউডের এই সুপারস্টারের উচিত ভয়ের বাতাবরণ না বাড়িয়ে আম ভারতীয়দের আশার আলো দেখানো। অভিনেতা-সাংসদ পরেশ রাওয়ালও সমালোচনা করেছেন আমিরের। পরেশ বলেন, ‘দেশ যখন বিপদের মুখোমুখি, একজন সত্যিকারের দেশভক্ত কখনও সেই সময় দেশ ছাড়ার কথা বলে না। পরিস্থিতির বদল আনতে চেষ্টা করে। ’ পরেশের প্রশ্ন, দেশকে মা ভাবলে দেশ ছাড়ার কথা ভাবনায় আসতো না।
বাংলাদেশ সময় : ১৫৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৫
জেএইচ