ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

সুরের মেলায় শেষ বেলা

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৫
সুরের মেলায় শেষ বেলা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

পাঁচ দিনব্যাপী বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবের শেষ হওয়ার পথে। বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে পঞ্চম ও সমাপনী দিনের শুরু হয় মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায়।

আজ প্রথম পরিবেশনাছিলো অনিমেষ বিজয় চৌধুরী এবং তার দলের। দেশ রাগে ধামার ও রাগ ভূপালিতে চতুরঙ্গ পরিবেশন করে সিলেটের দল গীতবিতান বাংলাদেশ। অনিমেষ বিজয় চৌধুরীর সঙ্গে সহশিল্পী হিসেবেছিলেন কুমকুম ভৌমিক, নূর-ই-আফরোজ, পরেশ চন্দ্র পাল, রুমা চন্দ, শাগুফতা হক, সুব্রত মিত্র, সোনিয়া রায়। পাখওয়াজে ছিলেন আলমগীর পারভেজ। তানপুরায় অভিজিৎ কুন্ডু। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন অধ্যাপক ড. অসিত রায়। শিল্পীদের হাতে উৎসব স্মারক তুলে দেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের।   

এরপর আলারমেল ভাল্লি পরিবেশন করেন ভরতনাট্যম। তিনি রতি সুখসারী, উন্‌নুনীর ভিক্‌কিনান ও মুত্‌তাভাদ্‌দুরা পরিবেশন করেন। আভোগী রাগে নৃত্যলহরী পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আলারমেল ভাল্লি শেষ করেন তার পরিবেশনা। শিল্পীর সঙ্গে পারকাশনে ছিলেন শক্তিভেল এম সুব্রামানিয়ম, সিমবলস বাজিয়েছেন ভি সি কেসাভালু, বেহালাতে ইশ্বর রামাকৃষ্ণণন এবং কণ্ঠসংগীতেসহযোগিতা করেন বসুধা রবি। আলোক নিয়ন্ত্রণে ছিলেন এস বিভেগানানথম। শিল্পীদের হাতে উৎসব স্মারক তুলে দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী।

এরপর বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবের আনুষ্ঠানিক সমাপনী ঘোষণা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেয়র আনিসুল হক, ভারতের রাষ্ট্রদূত পংকজ শরণ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ডের  এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ এ সামাদ, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন স্যার ফজলে হাসান আবেদ, শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমেরিটাস ড. আনিসুজ্জামান এবং বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের।

শুরুতেই বক্তব্য রাখেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের। তিনি বলেন, ‘গত বছর সমাপনী দিনে ৫৬ হাজার দর্শক-শ্রোতা এখানে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন। এদের মধ্যে তরুণ শ্রোতার সংখ্যাই ছিলো বেশি। এর মাধ্যমে আমরা ধারণা করতে পারি আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম ভালো কিছুর সঙ্গে আছে, থাকবে। ’

মেয়র আনিসুল হক বলেন, ‘কেবল অন্ধকার ও হতাশার কথা বললেই হয় না, একটি আলো অন্তত জ্বালাতে হয়। এই কাজটিই করছে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন। পৃথিবীর আর কোনো দেশে এতো সুন্দরভাবে হাজার হাজার মানুষের এভাবে গান শোনার নজির নেই। ’

ড. গওহর রিজভী বেঙ্গল ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘কালকে থেকে আবার দিনগণনা শুরু হবে পরবর্তী উৎসবের প্রতীক্ষায়। ’     

ফজলে হাসান আবেদ বরেণ্য চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব আমাদের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করে চলেছে। ’

ড. আনিসুজ্জামান বলেন, ‘যে কোনো সুকুমার শিল্পের চর্চা মানুষের মনকে ভালো রাখে। পঞ্চাশ হাজারের বেশি শ্রোতা উচ্চাঙ্গসংগীত শুনছে- এটা অসামান্য ঘটনা। ’ বক্তব্য শেষে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের অতিথিদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।

পঞ্চম ও শেষদিনের উৎসবে আরও থাকছে ইরশাদ খান (সুরবাহার), সামিহান কশলকর (খেয়াল), ওস্তাদ সুজাত খান (সেতার), ওস্তাদ রশিদ খান (খেয়াল) এবং পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার (বাঁশি) পরিবেশনা।

এবারের উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে বরেণ্য শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীকে। প্রায় ২০০ জন সংগীত ও নৃত্যশিল্পী অংশ নিচ্ছেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের এই আয়োজনে।

বাংলাদেশ সময় : ২২২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৫
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।