ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

বাবার স্বপ্ন ছিলো সালমানকে ক্রিকেটার বানাবেন

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৬
বাবার স্বপ্ন ছিলো সালমানকে ক্রিকেটার বানাবেন সেলিম খান ও সালমান খান

ছেলে দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলবে- এমনটাই দেখতে চেয়েছিলেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বাবা সেলিম খান। এমনকি ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার সেলিম দুরানিকে কোচ হিসেবে নিয়োগও দিয়েছিলেন তিনি।

দুরানি মন্তব্য করেছিলেন, মাঠে সল্লুর ভবিষ্যত উজ্জ্বল।  

টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার জীবনী ‘এইস অ্যাগেইস্ট ওডস’-এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়েছেন সালমান। ৫০ বছর বয়সী এই তারকার ভাষ্য, ‘বাবা চেয়েছিলেন আমি ক্রিকেট খেলি। এটা সহজও হতো। কিন্তু ভোর সাড়ে পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠে প্রশিক্ষণের জন্য যাওয়া মোটেই ভালো লাগতো না আমার। এটা কঠিন একটা জীবন, ক্রিকেটার হওয়াও খুব কঠিন।  

সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘সুলতান’ ছবিতে কুস্তিগীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন সালমান। তিনি জানান, আগে প্রায়ই ক্রিকেট খেলতেন। কিন্তু বাবা যেদিন খেলা দেখতে এলেন ওইদিন ইচ্ছে করে খারাপ পারফর্ম্যান্স করেছিলেন সল্লু!

‘বজরঙ্গি ভাইজান’ তারকা বলেন, ‘আমার কোচ হিসেবে সেলিম দুরানিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো। প্রথম দিন তিনি আমার খেলা দেখলেন। খুব ভালো খেললাম। দ্বিতীয় দিনও বেশ ভালো খেলেছিলাম। তাই তৃতীয় দিন তিনি আমার বাবাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বললেন- আপনার ছেলের ভবিষ্যত খুব উজ্জ্বল। ওইদিন মনে হলো বাবা আমার খেলা দেখতে আসবেন। তাই আমাকে আসলেই খারাপ খেলতে হবে!’

সালমান আরও জানান, সময়মতো স্কুলে যাওয়াটাও ছোটবেলায় তার কাছে কঠিন মনে হতো। সেক্ষেত্রে ক্রিকেট অনুশীলনের জন্য অতো ভোরে ঘুম থেকে ওঠা তো অসম্ভব ব্যাপার! তিনি বলেছেন, ‘রোজ স্কুলে যাওয়াটা সমস্যা মনে হতো। আমাদের প্রথম লেকচার শুরু হতো সকাল নয়টায়। এ কারণে ঘুম থেকে উঠতে হতো সকাল সাড়ে আটটায়। বেশিরভাগ দিনেই সময় মতো স্কুলে পৌঁছাতে পারতাম। সত্যি বলতে আমি পরিচালক হতে চেয়েছিলাম। ’ 

বাবা সেলিম খানই সালমানের অভিনয়ের সবচেয়ে বড় সমালোচক। তাই যে কোনো ছবি মুক্তির পর তার প্রতিক্রিয়া জানতে মুখিয়ে থাকেন ‘দাবাং’ তারকা। তিনি বলেন, ‘আমার ছবি দেখার পর কখনও তিনি বলেছেন- বাদ দাও, ঘুমাও! কোনোবার বলেছেন- এ ছবি ভুলে পরেরটাতে আরও পরিশ্রম করার জন্য মনোযোগ দাও। ’ 

এজন্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ছবি বাছাইয়ে খুঁতখুঁতে হয়েছেন সালমান। তার কথায়, ‘আগে যতো আর যে ধরনের ছবিতে কাজ করতাম, সেই পথে আর যাচ্ছি না। ’ 

রোববার (১৭ জুলাই) সানিয়া মির্জার জীবনী প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সালমান আরও বলেন, ‘আমার পরিবার ছাড়া আমি সালমান খান হতে পারতাম না। আমার ভাই, বোন, বাবা, মা ও বন্ধুদের অংশ বলতে পারেন আমার ব্যক্তিত্বকে। আমাদের ঘরে যা ঘটে, যেসব মজার কথা হয়, তা আমার ছবিতে ও টিভিতে কাজে লাগাই। তাই সোহেল খান, আরবাজ, অর্পিতা, আলভিরা, সেলিম খান ও সালমা ছাড়া সালমান খান অসম্পূর্ণ। এ মানুষগুলো না থাকলে কোনো ব্যক্তিত্বই থাকতো না আমার। ’ 

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৬
বিএসকে/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।