মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে একুশে পদকপ্রাপ্ত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী কাদেরী কিবরিয়ার সঙ্গীত জীবনের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ‘আমরা সূর্যমুখী’ সংগঠন।
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় কণ্ঠশিল্পীদের অবদান ব্যাপক। তাদের অবদান ভাষায় ব্যক্ত করে শেষ করা যাবে না। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছিলো, তখন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠশিল্পীরা তাদের গানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে উজ্জীবিত করেছিলেন। এ গান শুনে সাধারণ মানুষেরা নিজেদের জীবনবাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন’।
তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের গানের মাধ্যমে তাদেরকে বাংলার স্বাধীনতা সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। তখনকার বাংলার জীবন যাপন কেমন ছিলো? আমরা চাই, তরুণ প্রজন্ম বাংলাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাক। এবং বিশ্বের বুকে বাংলার নাম স্বর্ণাক্ষরে জ্বল জ্বল করে জ্বলবে’।
কণ্ঠশিল্পী আব্দুল হাদী বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্ম বাংলা গানকে অন্য চোখে দেখে। তারা হিন্দি-ইংরেজি গান নিয়ে মেতে থাকে। যা আমাদেরকে কষ্ট দেয়। মুক্তিযুদ্ধে আমরা যে গান গেয়েছিলাম, সেসব গান আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই তরুণ প্রজন্মের কাছে বাংলা গানের ভাবার্থ বোঝাতে হবে’।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অনুভূতি ব্যক্ত করেন কণ্ঠশিল্পী কাদেরী কিবরিয়া।
বক্তব্য দেন কণ্ঠশিল্পী ফাতেমা তুজ জোহরা ও শাহিন সামাদ এবং আয়োজক সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলাম সেলিম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৭
এসজে/এএসআর