কিন্তু কৌশলী বিউটি হাল ছাড়বার পাত্রী নয়। বুদ্ধির জোরে সে শেষ পর্যন্ত কাটিয়ে ওঠে গভীর সংকট— এমনই গল্প নিয়ে নওগার সাপাহারে চলছে ‘বিউটি সার্কাস’ ছবির শুটিং।
জয়া আহসান ছবিটি সম্পর্কে বাংলানিউজকে বলেন, ‘দেশের অন্যতম সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হচ্ছে সার্কাস। এক সময় পরিবার নিয়ে সার্কাস দেখতে যাওয়ার প্রচলন ছিলো গ্রামবাংলায়। কিন্তু নানা কারণে ম্লান হয়ে গেছে সেই ঐতিহ্য। ছবিটিতে সীমান্ত এলাকার এক নারীর চরিত্রে অভিনয় করছি আমি। যে কি-না জীবিকার তাগিদে নিজ কর্মক্ষেত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, তার সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা সার্কাস সংস্কৃতির সুদিন ফেরানোর চেষ্টা করছি। ’
জয়া জানান, রূপসী ও গুণী নারীদেরকে পুরুষ পছন্দ করে, নিজের করে পেতে চায়। সেই নারী যখন সংকটে পড়ে? সুবিধাবাদী পুরুষরা তখন অসহযোগিতামূলক আচরন করে। এটাও ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে ছবিটিতে।
‘বিউটি সার্কাস’ মাহমুদ দিদারের প্রথম ছবি। তিনি জানান, তার ক্যারিয়ারে অনেক বড় কাজ এটি। তাই কোনো দিকে না তাকিয়ে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন ছবিটিকে।
দিদার বলেন, ‘গ্রাম-বাংলার চিরায়ত মেলা ও সার্কাসের আদলে আমরা সেট তৈরি করেছি। ঐতিহ্যকে ধারণ করে গল্পের প্রয়োজনে সার্কাসের ক্ষেত্রটিকে একটু ফ্যান্টাসাইজ করেছি। দু’শ জনের বিশাল টিমের পাশাপাশি একটি মেলার আয়োজনও করেছি। এতে গ্রামবাসী অংশ নেবেন। ’
‘বিউটি সার্কাস’-এ পুরুষের ভূমিকাকে ইতি ও নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হবে। জয়া থাকছেন চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে। প্রচলিত ঘরানা থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। সমাজের নানা শ্রেণীর মোড়ল ও ক্ষমতাধরদের ভূমিকায় দেখা যাবে ঢাকাই ছবির নায়কদের। ছবিটিতে আরও দেখা যাবে ফেরদৌস ও তৌকির আহমেদকে। প্রথম ভাগের শুটিংয়ের জন্য ‘বিউটি সার্কাস’ টিম নওগাঁয় থাকবে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
নওগাঁ ছাড়াও সিলেটের একটি অঞ্চলে এর চিত্রধারণ করা হবে। আগামী ঈদে ছবিটি মুক্তি পাবে বলে আশা করছেন মাহমুদ দিদার। সরকারি অনুদানে তৈরি হচ্ছে ‘বিউটি সার্কাস’।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫০, ২০১৭
এসও