ব্যক্তিজীবনে দেশের ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অক্ষয়ের সরব ভূমিকা অনেকের নজর কেড়েছে। জানুয়ারিতে টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন বলিউডের এই অভিনেতা।
এখানেই শেষ নয়, ২০১৬ সালের এপ্রিলে খড়াপীড়িতদের ৫০ লক্ষ, আগস্টে জওয়ানদের ৮০ লক্ষ এবং মহারাষ্ট্রের কৃষকদের ৯০ লক্ষ রুপি অনুদান দিয়েছিলেন ‘হাউজফুল’খ্যাত এই তারকা। প্রশ্ন জাগতে পারে, অক্ষয়ের এসব বিষয় নিয়ে এতো কথা কেন বলা হচ্ছে?
জেনে আশ্চর্য হবেন, ভারতের জন্য এতো কিছু করলেও অক্ষয় দেশটির নাগরিকই নন। শুধু তাই নয়, ভোট প্রয়োগের অধিকারও নেই তার! দেশপ্রেমিক এই অভিনেতার সঙ্গে কেনো এমন হলো?
ঘটনা জানতে একটু অতীতে ফিরতে হবে। একবার যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দরে আটকানো হয়েছিলো ৪৯ বছর বয়সী এই তারকাকে। যেখানে তাকে সব কাগজপত্র দেখাতে হয়েছিলো। তখনই মিলেছিলো অক্ষয়ের কানাডিয়ান পাসপোর্ট। কারণ তিনি একইসঙ্গে ভারতীয় ও কানাডিয়ান দুই দেশের নাগরিক। এমনকি উইকিপিডিয়াতেও এই নায়কের জাতীয়তা কানাডিয়ান দেওয়া রয়েছে।
এমনটা হতেই পারে যে, একসঙ্গে দ্বৈত নাগরিকত্ব ভোগ করছেন এই অক্ষয় কুমার। কিন্তু ভারতের সংবিধান এটি সমর্থন করেনা। এ কারণে ভারতের কোনও নির্বাচনে তিনি ভোট দিতে পারবেন না। ১৯৫৫ সালের সিটিজেনশিপ অ্যাক্টের ৯ ধারা অনুযায়ী, যদি কেউ অন্য কোনও দেশের নাগরিকত্ব নেন, তাহলে তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব হারাবেন। অক্ষয়ের সঙ্গে সেটাই হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭
বিএসকে/এসও
** ৮০ লাখ রুপি দিলেন অক্ষয়
** খরাপীড়িতদের পাশে আমির ও অক্ষয়
** কৃষকদের ত্রাতা হয়ে এলেন অক্ষয়