বুধবার (৮ মার্চ) বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপে সেলিম জানান, নাটকের কাজ নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটছে। নতুন ছবির খোঁজ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সিনেমায় তো ডাক পাই না।
বাণিজ্যিক বা বিকল্প ধারায় প্রশংসনীয় অভিনয় করার পরও কেন এমন হচ্ছে, এটা জানা নেই সেলিমের। তবে তার মতে, চলচ্চিত্রের অধিকাংশ কাজ ভাগাভাগি হয়ে যাচ্ছে। যৌথ প্রযোজনার কারণে নায়ক-নায়িকা, ভিলেন কিংবা অন্য শিল্পীর জায়গায় ভিনদেশিরা কাজ করছেন। এর প্রভাব পড়েছে চলচ্চিত্রপাড়ায়। তিনি আরও জানান, এর মধ্যে আবার একটি প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট শিল্পীরা কাজ করছেন। তাদের ছবিতে তাদের ঘরের বাইরের শিল্পী রাখা হয় না বললেই চলে।
সেলিম বলেন, ‘কিছু কিছু ছবির জন্য এমনিতেই আমি উপযুক্ত নই, এটা বুঝতে পারি। সত্যি বলতে তথাকথিত ভিলেন চরিত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইনি। যে ছবিগুলোতে কাজ করার সুযোগ আছে সেগুলোও নানা কারণে করা হয়ে উঠছে না। আমি মনে করি, আমি কোনো ঘরের শিল্পী হতে পারবো না, আমি ফ্রিল্যান্সার। এ কারণেই আফসোস করি না। ’
সেলিম বিষয়টি নিয়ে হতাশ নন। তার মতে, চার বছরে অন্তত দুটি ভালো ছবি করতে পারলেই তিনি খুশি। এ তালিকায় যোগ করলেন ‘বাপজানের বায়স্কোপ’, ‘জালালের গল্প’, ‘অজ্ঞাতনামা’ ছবিগুলোর নাম।
মঞ্চ ও টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম অভিনীত চলচ্চিত্রের তালিকা খুব বড় নয়। এর মধ্যে আছে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’, ‘চোরাবালি’, ‘দেবদাস’, ‘মেঘমল্লার’, ‘পদ্মপাতার জল’, ‘বাপজানের বায়স্কোপ’, ‘জালালের গল্প’, ‘অজ্ঞাতনামা’ প্রভৃতি।
বাংলাদেশ সময়: ১২২১ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৭
এসও