‘আমি আজকে খুব খুশি হতাম যদি আমার পাশে বন্ধু থাকতো, নিলয়, তাহলে হয়তো আপনারা আরেকটু কিছু দেখতে পেতেন। …ওর মতো করে এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশে আর কেউ গিটার বাজাতে পারে না।
‘বাংলাফ্লিক্স প্রেজেন্টস সাউন্ড অব সাইলেন্স’-এর মঞ্চে নতুন প্রজন্মের বাজিয়েদের উৎসাহ দিয়ে বাচ্চু বলেন, ‘যারা মিউজিক শিখতে চাইছেন, ইউটিউবে যান, দেখে নেন কিভাবে নিউ ক্ল্যাসিক্যাল বাজাতে হয়। আপনাদের দেখে যেন নিলয়কে বারবার মনে করতে হয়। …ও অদ্ভুত স্টাইলে গিটার বাজাতো। আমি ঠিক বুঝিয়ে বলতে পারবো না, কীভাবে সেটা। হি ওয়াজ মিরাকল। হ্যাপি (আখন্দ) ওয়ান এনাদার জিনিয়াস। ’
এরপর বাচ্চু যোগ করে বলেন, ‘এগুলো (নিলয় ও হ্যাপি) বাংলাদেশে আর আসবেনা, শেষ। এগুলো সব চলে গেছে। আর আমরাও কেউ কেউ যাওয়ার পথে…’।
আইয়ুব বাচ্চুর বক্তব্যের শেষ অংশটি শুনে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করেন ভক্তরা। প্রিয় শিল্পীর মুখে চির বিদায়ের ঈঙ্গিত তারা মানতে পারেননি। দর্শক সারি থেকে ‘নো নো এবি’ স্বর এসে পৌঁছে বাচ্চুর কানে। তিনি বিষয়টিকে রসিকতায় ঢেকে দিলেন বাংলাদেশি ছবির একটি চিরচেনা সংলাপ দিয়ে। বাচ্চু বললেন, ‘নো নো! ছেড়ে দে শয়তান, ছেড়ে দে। ’ এরপরই তিনি জিমি হেনড্রিক্সের গানে ঢুকে পড়লেন জনপ্রিয় এই রকতারকা। মুহুর্তের মধ্যে গিটারমন্ত্রে দর্শক-শ্রোতাদের আবারও ভাসালেন সুরের খেয়ায়।
দুই ঘণ্টার আয়োজনে বাচ্চু গিটার বাজিয়েছেন চেনা-অচেনা সুরে। কোনো বিরতি ছিলোনা এর মধ্যে। খুব অল্প করে কথা বলেছেন দু’ তিনবার। এর মধ্যে তিনি একটি বাক্য উচ্চারণ করেছেন কয়েকবার। সেটি হলো, ‘আমার জীবন স্বার্থক হলো’।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৭
এসও