স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হয় শোবিজের সফল নারীশিল্পীদের সঙ্গে। অভিনেত্রী চম্পা, চিত্রনায়িকা নিপুন আর কণ্ঠশিল্পী ন্যানসির বক্তব্য তুলে ধরা হলো বাংলানিউজের পাঠকের জন্য—
চম্পা, অভিনেত্রী
বাংলদেশ নয়, যে কোনো দেশেই কর্মক্ষেত্রে নারীকে সাবধানে পা ফেলতে হয়।
নিপুন, চিত্রনায়িকা
কর্মক্ষেত্রে নারীর ওপর কর্তৃত্ব ফলানোর বিষয়টি এখনো রয়ে গেছে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের চিত্রটি এমনই থাকবে। চলচ্চিত্রে কাজ করতে গিয়ে এমন অনেকবারই হয়েছে যে, নারী হওয়ার কারণে হয়তো ঠিকঠাক সম্মানিটা সময় মতো পেলাম না। একজন পুরুষ যতো সহজে তার অধিকার আদায় করে নিতে পারে, নারীর ক্ষেত্রে সেটা একটু কঠিনই। তবে সব ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহন বেড়েছে এটা অাশার কথা। নারী স্বাধীন, এটা মোটাদাগে বলা যাবে না।
একটা বিষয় স্বীকার করি, অভিনয়ের সুবাদে যে পরিচিতি পেয়েছি সেটা ব্যবসার ক্ষেত্রে বেশ কাজে লাগছে। আমার মিটিং বা কাজ অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুরুষের সঙ্গেই। চলচ্চিত্র বা ব্যবসা— দুই ক্ষেত্রেই পুরুষের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার কথা আমি অস্বীকার করতে পারি না। আমি স্বাধীন বলেই, অভিনয়, ব্যবসা, সংসার দু’হাতে সামলে চলেছি।
ন্যানসি, কণ্ঠশিল্পী
আমি মনে করি, কর্মক্ষেত্রে আমি পুরোপুরি স্বাধীন। সংসারেও তাই। আমার দাদিকে দেখেছি, মাকে দেখেছি। তারাও স্বাধীন ছিলেন। মা হয়তো কামাই রোজগার করতেন না, কিন্তু বাবা সময় তাকে গুরুত্ব দিয়েছেন, স্বাধীনতা দিয়েছেন। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা দিয়ে বিষয়টি বিচার করিনা আমি। একজন স্বামী তার স্ত্রীকে পুড়িয়ে মেরে ফেললেন— অন্যদের স্বামী তো এটা করছেন না। আমাদের দেশের নারীরা বেশ স্বাধীন। কী সংসার কী কর্মক্ষেত্র নারী স্বাধীনতা চোখে পড়ে। আর এটা তো খুব ইতিবাচক দিক যে, আমার দেশের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৭
এসও