ইবনে মিজান ১৯৯০ সালে চলচ্চিত্রাঙ্গন ছেড়ে সপরিবারে ক্যালিফোর্নিয়ায় পাড়ি জমান। নিভৃত জীবন বেছে নিয়েছিলেন একসময়ের আলোচিত এই নির্মাতা।
ইবনে মিজান ১৯৬৪ সালে উর্দু ভাষায় প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। এর নাম ছিলো ‘আওর গাম নেহী’। এতে খলনায়ক চরিত্রে আজিমকে অভিনয়ে নিয়ে আসেন মিজান। ছবিটি নানা কারণে মুক্তি পায়নি। ১৯৬৫ সালে সালাহউদ্দিন পরিচালিত ‘রূপবান’ সুপারডুপার হিট হয়। এর প্রভাবে ১৯৬৬ সালে ইবনে মিজান নির্মাণ করেন ‘আবার বনবাসে রূপবান’। এটাও ব্যবসায়িক সাফল্য পায়।
ইবনে মিজানকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। ফোক-ফ্যান্টাসি ঘরানার ছবি নির্মাণে তিনি সিদ্ধহস্ত হয়ে ওঠেন। পরে তাকে অনুসরণ করে অনেকেই খ্যাতি পেয়েছেন।
এদিকে সামাজিক অ্যাকশনধর্মী ছবিতেও ইবনে মিজান সফলতা পান। তার ছবির তালিকায় আরও আছে, ‘বাঁশের কেল্লা’, ‘চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা’, ‘জরিনা সুন্দরী’, ‘পাতালপুরীর রাজকন্যা’, ‘আমির সওদাগর ও ভেলুয়া সুন্দরী’, ‘শহীদ তিতুমীর’, ‘নাগিনীর প্রেম’, ‘কত যে মিনতি’, ‘কমলরানীর দীঘি’, ‘ডাকু মনসুর’, ‘জিঘাংসা’, ‘দুই রাজকুমার’, ‘বাহাদুর’, ‘শাহজাদা’, ‘তাজ ও তলোয়ার’, ‘নাগ নাগিনীর প্রেম’, ‘পাতাল বিজয়’, ‘পুনর্মিলন’, ‘রাজবধূ’, ‘বাগদাদের চোর’, ‘রাজকুমারী’, ‘রাজ নর্তকী’, ‘বসন্তমালতি’, ‘বাহাদুর’, ‘নওজোয়ান’ প্রভৃতি।
১৯৩৭ সালে সিরাজগঞ্জে জন্মগ্রহণকারী ইবনে মিজান তার সময়কালে ছিলেন নন্দিত। পাশাপাশি সমালোচনাও সহ্য করেছেন প্রচুর। কারণ বলিউডের কাহিনি নিয়েও অনেক ছবি করেছিলেন তিনি। দেশীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে ইবনে মিজানের অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৭
এসও