অর্থমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ আয়োজন করছে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন। এ উৎসবের প্রতিটিতেই উপস্থিত থেকেছি, এটা আমার সৌভাগ্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, আবাহনী লিমিটেডের সভাপতি সালমান এফ রহমান, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, স্কয়ার গ্রুপের পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সেলিম আর এফ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, সঙ্গীত আমাদের পরিশুদ্ধ করে, আমাদের চিত্তকে উদার করে, আমাদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সাহায্য করে। সঙ্গীত আমাদের মুক্তচিন্তার অধিকারী করে অসাম্প্রদায়িক হওয়ার প্রেরণা যোগায়। এ উৎসবের মধ্য দিয়ে সে মূল্যবোধ, চেতনাকে ধারণ করতে চাই। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সঙ্গীত আমাদের শক্তি যোগাবে। উৎসবটি আমাদের মধ্যে সেই চেতনার বিকাশ ঘটায়।
হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, এটি এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত উৎসব। বিশ্বের অন্যতম ধ্রুপদী উৎসবটি বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে শিল্পীদের টেনে এনেছে। শিল্পীদের সঙ্গীতে নিজেদের সমৃদ্ধ করবো।
উৎসব মঞ্চে আবুল খায়ের ঘোষণা দেন, আগামী বছর এ উৎসব উৎসর্গ করা হবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, ২০১৯ সালে ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদকে এবং ২০২০ সালে ছায়ানট সভাপতি সানজীদা খাতুনকে।
‘সঙ্গীত জাগায় প্রাণ’- এ প্রতিপাদ্যে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন আয়োজিত এবারের উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে শিক্ষাবিদ-সংস্কৃতিজন ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানকে। এবারের উৎসবের নিবেদক স্কয়ার গ্রুপ এবং সমর্থন করছে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
এইচএমএস/আরআর