শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে তাদের হাতে অনুদানের অর্থ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রত্যেককে দেওয়া হয় ১০ লাখ টাকা করে।
এ প্রসঙ্গে কাজী হায়াৎ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বাংলানিউজকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমি হার্টের সমস্যায় ভুগছি। অর্থের অভাবে ভালো চিকিৎসা করাতে পারছি না। তাই কয়েক সপ্তাহ আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চেয়ে আবেদন করি। তিনি আমার আবেদন দেখার সঙ্গে সঙ্গে অনুদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গতকাল অনুষ্ঠানিকভাবে আমার হাতে চেক তুলে দেন। ’
এই সময়ে পাশে দাঁড়ানোয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান ‘আম্মাজান’খ্যাত এই পরিচালক।
কাজী হায়াৎ আরও জানান, ১৯৯৩ সালে তার হার্টে প্রথম ব্লক ধরা পড়লে রিং পরানো হয়। এরপর ২০০৫ সালে তার ওপেন হার্ট সার্জারি হয়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ভালো ছিলেন।
কিন্তু বেশ কিছুদিন আগে তার হার্টে আবার ব্লক ধরা পড়ে। যে কারণে ভালোভাবে চলাফেরা করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে তার। বিশ্রামে থাকছেন এবং অভিনয় ও নির্মাণে নিয়মিত হতে পারছেন না।
বর্তমানে নিজের স্থায়ী সম্পত্তি বিক্রির অর্থ ও টুকটাক অভিনয় করে যা পাচ্ছেন তা দিয়েই চলছেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে তার নিজের চিকিৎসা করার মতো সামর্থ্য নেই জানিয়ে কাজী হায়াৎ বলেন, দুঃসময় যাচ্ছে বিধায় প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের আরেক বর্ষিয়ান অভিনেত্রী খালেদা আক্তার কল্পনাও দীর্ঘদিন ধরে ডান চোখের সমস্যায় ভুগছেন। এখন তিনি শুধু একচোখে দেখতে পান। তার ডান চোখে গ্লুকোমা, রেটিনায় রক্তপাত আর কর্নিয়ার আলসার থেকে সংক্রমণ হয়ে গুরুতর রূপ নিয়েছে।
কল্পনা তিনবার ভারতের চেন্নাইয়ে ছানি অপারেশন করিয়েছেন। তবে এখনো পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেননি। উন্নত চিকিৎসার অর্থ যোগাড়ে তিনি ব্যর্থ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সাহায্য চেয়ে সাড়া পেলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮
জেআইএম/এইচএ/