বিষয়টি এতোদিন চাপা রাখলেও শুক্রবার (১০ মে) এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে খুরশীদ আলমের প্রশংসায় একটি পোস্ট দিয়েছেন দেশ বরেণ্য গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান।
পোস্টে তিনি লেখেন, শিল্পী হিসেবে খুরশীদ আলম কতো সফল তা সবাই জানেন।
কারো আকস্মিক মৃত্যু ঘটলে, সে খবরটিও তার কাছেই পাই। এই তো মাত্র ক'দিন আগে মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনায় পড়ে মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করে ফিরে এসেছেন তিনি নিজে। এখনো তার চিকিৎসা সম্পূর্ণ হয়নি। কিন্তু সুবীর নন্দীর মৃত্যু খবর পাওয়ার পর যারা সুবীরের স্ত্রীকে সান্তনা দিতে ছুটে গেছেন, দেখলাম- খুরশিদ এবং মোঃ রফিকুল আলম তাদের অন্যতম।
এখানে সিএমএইচ-এ চিকিৎসারত সুবীরের খবর নিয়মিত জানাতেন, শিল্পী রফিকুল আলম। সিঙ্গাপুর নেওয়ার পর খবর জেনেছি, সুবীরের মেয়ে মৌ’র কাছ থেকে। সুবীরের মৃত্যুর খবরটাও প্রথম পেলাম, মৌ’র পোস্ট এবং খুরশীদের ফোনে। কাল (বৃহস্পতিবার) গিয়ে দেখলাম, খুরশীদ বসে আছে। মৃত্যুর খবর পাওয়া থেকে শেষকৃত্য পর্যন্ত খুরশীদ আলম এবং রফিকুল আলম যেভাবে পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে, তার দৃষ্টান্ত আমাদের শিল্পীসমাজে বিরল।
খুব ভালো লাগলো, সেদিনের ছোট্ট মেয়েটি মৌ (সুবীরের মেয়ে) যেভাবে, এতোবড় শোক সামলে নিয়ে, মাকে সামলানো থেকে শুরু করে, সামনে কী করতে হবে তার সব দায়িত্ব এবং সিদ্ধান্ত নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন দেখে।
রফিকউজ্জামানের পোস্টের সূত্রে বলতে হয়, শিল্পী হিসেবে শিল্পীর পাশে দাঁড়ানো, শিল্পীর প্রতি শিল্পীর দায়িত্ব- এ বিষয়গুলোতে সকল শিল্পীদেরই সচেতনতা হওয়ার দরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৯
ওএফবি