বুধবার (২২ মে) রাত ১০টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
শিল্পী খালিদ হোসেনের ছেলে আসিফ হোসেন এবং ছোট ভাই মাহমুদ হোসেন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শিল্পীর ভাই মাহমুদ বলেন, চিকিৎসার জন্য প্রতি মাসেই হাসপাতালে নেওয়া হতো শিল্পী খালিদকে। তখন দুই-তিনদিন তিনি হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি থাকতেন। গত ৪ মে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এদিকে খালিদ হোসেনের ছাত্রী নাদিয়া আফরোজ শাওন জানান, হাসপাতালের সব অনুষ্ঠানিকতা শেষে খালিদ হাসানের মরদেহ ঢাকার নিজ বাসায় নেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ আক্রান্তসহ কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যার পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছেন শিল্পী খালিদ হোসেন। তার চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তরফ থেকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়ে ছিল।
১৯৩৫ সালের ৪ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গে খালিদ হোসেনের জন্ম। কিন্তু দেশ বিভাগের পরে পরিবারসহ বাংলাদেশে স্থায়ী হন তিনি।
সঙ্গীত প্রশিক্ষক ও নিরীক্ষক হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, দেশের সব মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ টেক্সট বুক বোর্ডে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি নজরুল ইনস্টিটিউটে নজরুলগীতির আদি সুরভিত্তিক নজরুল স্বরলিপি প্রমাণীকরণ পরিষদের সদস্য।
এখনো পর্যন্ত খালিদ হোসেনের গাওয়া ছয়টি নজরুলসঙ্গীতের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। আধুনিক গানের একটি ও ইসলামি গানের ১২টি অ্যালবাম প্রকাশ পেয়েছে গুণী এই শিল্পীর কণ্ঠে।
সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের জন্য ২০০০ সালে খালিদ হোসেন একুশে পদক পান। এছাড়া পেয়েছেন নজরুল একাডেমি পদক, শিল্পকলা একাডেমি পদক, কলকাতা থেকে চুরুলিয়া পদকসহ আরও অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৯
এইচএমএস/জেআইএম/ওএফবি/আরআইএস/