ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

মার্ভেল স্টুডিওস যা বানায় তা ‘কোনো সিনেমা নয়’

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৯
মার্ভেল স্টুডিওস যা বানায় তা ‘কোনো সিনেমা নয়’

বর্তমান যুগে বিশ্বজুড়ে সুপারহিরোদের যখন জয়জয়কার চলছে, তখন হলিউডের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পরিচালক মার্টিন স্করসেজি নিন্দা করলেন এসব সিনেমার। তার দৃষ্টিতে মার্ভেল স্টুডিওসের সুপারহিরো সিনেমাগুলো নাকি কোনো সিনেমাই নয়। 

২০০৭ সালে একবার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সিনেমা পরিচালক নির্বাচনের জন্য ভোটের আয়োজন করে টোটাল ম্যাগাজিন। সেই ভোটে কিংবদন্তি পরিচালক আলফ্রেড হিচককের পরেই দ্বিতীয় যার নাম আসে তিনি হলেন মার্টিন স্করসেজি।

দ্য এভিয়েটর, ট্যাক্সি ড্রাইভার, রেজিং বুল, দ্য ডিপার্টেড, গুডফেলাস, শাটার আইল্যান্ড ইত্যাদি বিখ্যাত সিনেমার পরিচালক তিনি। আর তিনি বলেন কিনা মার্ভেল স্টুডিওসের তুমুল জনপ্রিয় সুপারহিরো সিনেমাগুলো কোনো সিনেমার মধ্যেই পড়ে না।  

সম্প্রতি এমপায়ার ম্যাগাজিনকে এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে মতপ্রকাশ করেছেন মার্টিন স্করসেজি। মার্ভেলের সিনেমা তিনি দেখেছেন কিনা এ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘আমি চেষ্টা করেছিলাম, আপনি জানেন? কিন্তু এসব সিনেমা নয়। ’

সিনেমাজগতের এই শিরোমণি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি, সিনেমাগুলো যেভাবে বানানো হয়েছে তাতে আমার মনে হয় এসব একেকটা থিম পার্ক। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে সেরা যা কিছু করা যায়, অভিনেতারা সেটাই করেছেন। এটা এমন মানুষের কোনো সিনেমা নয়, যেখানে একজনের আবেগ-অনুভূতি ও মানসিক অভিজ্ঞতা অপর মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। ’

স্করসেজির পূর্বের সমালোচনার জবাব দিয়ে গত বছর মার্ভেলের কর্ণধার কেভিন ফিজ বলেছিলেন, সুপারহিরো সিরিজ কম সংখ্যক অ্যাওয়ার্ড পাওয়া মানে এই নয় যে, এর গুণগত মান বা উচ্চাকাঙ্ক্ষার ঘাটতি আছে।  

এ বছরের শুরুতে মার্ভেলের ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’ গ্লোবাল বক্স অফিসে সর্বকালের সর্বোচ্চ আয়ের সিনেমার তকমা পেয়েছে। সর্বোচ্চ আয়ের সেরা ৩০টি সিনেমার মধ্যে আটটি সিনেমাই সুপারহিরো ঘরানার।  

গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে স্করসেজির সবশেষ সিনেমা ‘দ্য আইরিশম্যান’র প্রিমিয়ার শো হয়। সিনেমাটিতে ডি-এজিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে সমালোচকদের ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই প্রখ্যাত পরিচালক।

এমনকি বর্তমানে আলোচিত ‘জোকার’ সিনেমাটি স্করসেজির ১৯৮৩ সালের সিনেমা ‘দ্য কিং অব কমেডি’র কাছে ঋণী।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৯
এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।