নাটকের গল্পে দেখা যায়, আবুল কালামের (আ খ ম হাসান) গায়ের রং কাকের মতো কালো বলে গ্রামের মানুষের কাছে সে কালু নামে পরিচিত। তবে কালু সবসময় হাসি-খুশি থাকে।
এই ঘটনার পর গ্রামের অনেকে কালুকে এবার কাউয়া বলতে শুরু করে। অন্যদিকে কালুর বায়রা ভাই রিজু (নিথর মাহবুব) সুন্দর হওয়ার কারণে নিজের প্রশংসায় নিজেই সে সবসময় পঞ্চমুখ থাকে। আর সুযোগ পেলেই নিজের সঙ্গে তুলনা করে কালুকে অবজ্ঞা করার চেষ্টা করে। সে নিজেকে অনেক স্মার্ট মনে করে। রিজুর স্ত্রীও (সীমানা শীলা) সাদা জামাই পেয়ে কিছুটা অহংকারী, জামাইকে খুশি রাখতে সবসময় সে সাজগুজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
কালুর স্ত্রী কাউকে কিছু না বলে বাবার বাড়িতে চলে যায়। রাতের আঁধারে কালু তার শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার পথে ডাকাত সন্দেহ করে গ্রামের মানুষ তাকে গণধোলাই দেয়। গ্রামের মানুষ ধারণা করে মুখে কালি মেখে কালু ডাকাতি করতে এসেছে। কালুর বায়রা ভাই ও শ্বশুর তাকে গ্রামবাসীর কাছ থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরিবারের সবাই মিলে মিথিলাকে বুঝায়। কিন্তু সে কালুর সংসার করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। কালু ভাবে ফর্সা কিংবা কালো সবই তো আল্লাহপাকের সৃষ্ঠি। সে মনে মনে স্থির করে ভাগ্যে যা লিখা আছে তাই হবে। হয়তো বা তার স্ত্রীর ভুল এক দিন ভাঙবে, হয়তো বা কখনোই ভাঙবে না। এমনি দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় ‘কালো জামাই’ নাটকের কাহিনি।
আ খ ম হাসান ও নিথর মাহবুব ছাড়াও নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে দেখা যাবে, সীমানা শীলা, বিপ্লব প্রসাদ, আফরোজা হোসেন, জাদু ফরিদ, ফরহাদ সরকার, আফতাব উদ্দিন, নবাব তুহিন প্রমুখ। অচিরেই ‘কালো জামাই’ একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচার হবে বলে নিথর মাহবুব জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৯
ওএফবি