সোমবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারের নবরাত্রী মিলনায়তনে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ সম্মাননা তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিবিএফএ’র সমন্বয়ক তপন রায়।
ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া ও বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে এই পুরস্কার অনুষ্ঠানটি নিবেদন করছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টিএম ফিল্মস।
বিবিএফএ’র সমন্বয়ক তপন রায় জানান, দুই দেশের দুই শতাধিক তারকার সমাবেশ ঘটবে এই আয়োজনে। পপুলার, টেকনিক্যাল ও রিজিওনাল- এই তিন ক্যাটাগরিতে মোট ২৪টি বিভাগে দুই দেশের শিল্পী-কুশলীদের পুরস্কার প্রদান করা হবে।
২০১৮ সালের জুন মাস থেকে চলতি বছরের (২০১৯) জুন মাস পর্যন্ত ভারত ও বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়া বাংলা চলচ্চিত্রগুলো থেকে এসব পুরস্কার বাছাই করা হচ্ছে।
আয়োজনটি প্রসঙ্গে ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার সভাপতি ফেরদৌস হাসান বলেন, ‘বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে এমন সাংস্কৃতিক সম্মেলন আরও আগেই হওয়া উচিত ছিল। তবে এবার সেটা হচ্ছে এবং বেশ বড়সড় আয়োজনের মধ্যদিয়েই হচ্ছে। আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই, দুই দেশের সংস্কৃতিপ্রাণ প্রতিটি মানুষের কাছে। যাদের সহযোগিতা আর সমর্থন ছাড়া এত বড় আয়োজন করা মুশকিলের বিষয় ছিল। আমার বিশ্বাস, এই আয়োজনটির মাধ্যমে আমাদের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ পুরনো সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করবে। ’
এদিকে এই আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে টিএম ফিল্মসের চেয়ারপার্সন ফারজানা মুন্নী বলেন, ‘প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দেশের চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি প্রদান অনুষ্ঠান। ঠিক একই সময়ে চলচ্চিত্রের পথে পা বাড়িয়েছে আমাদের টিএম ফিল্মস। চলচ্চিত্রে এখন সংকট চলছে, সেটি কাটিয়ে তোলার লক্ষ্যে নতুন সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলার প্রয়াসে আমরা প্রযোজনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ’
জানা গেছে, পুরস্কার প্রাপ্তদের বাছাই করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে জুরি বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আলমগীর, কবরী, ইমদাদুল হক মিলন, খোরশেদ আলম খসরু ও হাসিবুর রেজা কল্লোল। অন্যদিকে, ভারত থেকে আছেন গৌতম ঘোষ, ব্রাত্য বসু, গৌতম ভট্টাচার্য, অঞ্জন বোস ও তনুশ্রী চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানটির সার্বিক সহযোগিতায় আছে ভারতের জি-বাংলা ও বাংলাদেশের ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে আছে এটিএন বাংলা ও গানবাংলা টেলিভিশন। ইভেন্ট পার্টনার হিসেবে আছে ওয়ান মোর জিরো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
ওএফবি