সাধনা আহমেদের রচনায় ‘দমের মাদার’ নাটকটি নির্দেশনা করেছেন ড. আইরিন পারভীন লোপা।
সন্ধ্যা ৭টায় নাটকটির মঞ্চায়ন শুরু হয়।
এই নাটকে রোমাঞ্চ আছে, বিরহ আছে। ষড়যন্ত্র আছে ঐক্যবদ্ধ শক্তির জয়গাঁথা আছে। আধ্যাত্মিকতা ও মানবিক চেতনার চর্চা আছে, হাজার বছরের পুরনো একটি উচ্চমার্গ দর্শনকে লালন করার আপ্রাণ চেষ্টা আছে। নারীর প্রতি নিষ্পেষণ আছে, আবার নারী আধ্যাত্মিক গুরুর প্রতি সমর্পণও আছে। একদিকে একটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প আছে, আবার মানবতার জয়গানে সেই দর্শন ও প্রেমের জন্য আত্মবলিদানও আছে।
পিনপতন নীরবতায় আলো-আধারি পরিবেশে, কাহিনী ও অনুভূতির সঙ্গে বর্ণিল আলোর ছটা ও সংগীতায়োজনে নাটকের কাহিনী আরও প্রাণবন্ত হয়ে দর্শকদের হৃদয়কে আলোড়িত করেছে। অভিনেতাদের প্রাণবন্ত অভিনয় দর্শক মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করেছেন। বিরহী দৃশ্যগুলো অনেক দর্শককেই কাঁদিয়েছে।
নাটকটির প্রদর্শনী শেষে সমাপনী পর্বে একজন সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা দর্শক হিসেবে তার অনুভূতি প্রকাশ করতে মঞ্চে আসেন। তার আবেগাপ্লুত প্রশংসা ও মূল্যায়নে ধরা পড়ে নাটকটির মানবিক ও আধ্যাত্মিক বিবিধ প্রসঙ্গকে চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলার স্বীকৃতি। তার মুগ্ধতা ও অশ্রুসিক্ত চোখে মঞ্চ থেকে বিদায় নেওয়াটাই হয়তো নাটকটির চূড়ান্ত সাফল্যকে ইঙ্গিত করে।
সমাপনী পর্বে নির্দেশক ড. আইরিন পারভীন লোপাকে বিশেষ সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়। এছাড়াও নাটকটির রচয়িতা সাধনা আহমেদকেও সম্মাননা প্রদান করা হয়।
নাট্যকার সাধনা আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ২১ থেকে ৩০ অক্টোবর দশদিন ব্যাপি চলমান নাট্য উৎসবে ‘দম মাদার’ নাটকটির ৫৪তম মঞ্চায়ন হলো। এই নাটকের বার্তা হলো, সকল ধর্মই উদার ও সুন্দর। কিন্তু ধর্মকে অপব্যবহার যারা করেন তাদের কারণেই সমাজে ও রাষ্ট্রে হিংসা-সাম্প্রদায়িকতা বৃদ্ধি পায়। প্রকৃতপক্ষে যা সত্য, প্রেম ও মানবতার জয়গান গায় তাই হলো ধর্ম।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৯
এমকেআর