সাকিবকে নিষিদ্ধ করার খানিক আগে অর্থাৎ মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লিখেন, ‘বাংলাদেশ তোমার সঙ্গেই আছে সাকিব আল হাসান!’
তিনি আরও লিখেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নাম যেহেতু ‘বাংলাদেশ’ শব্দ দিয়ে শুরু হয়েছে, তাই দেশকে তোমার সঙ্গেই থাকতে হবে! জাতীয় স্বার্থের বেলায় ব্যক্তিগত বিরোধকে আমাদের বড় করে দেখা উচিত না।
আইসিসি’র দুর্নীতিবিরোধী আইনের তিনটি ধারা ভঙ্গ করার কথা স্বীকার করায় তাকে এই শাস্তি পেতে হচ্ছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে আইসিসি।
সাকিবের বিরুদ্ধে যে ৩ অভিযোগ আনা হয়েছে:
. ধারা ২.৪.৪- ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের ত্রিদেশীয় সিরিজ কিংবা ২০১৮ সালের বিপিএলে দুর্নীতির প্রস্তাব পাওয়ার পরও আকসুর কাছে পুরো তথ্য প্রকাশ না করতে পারা।
. ধারা ২.৪.৪- ২০১৮ সালের ত্রিদেশীয় সিরিজে দ্বিতীয়বারের মতো দুর্নীতির প্রস্তাব পাওয়ার পরও আকসুকে জানাতে ব্যর্থ হওয়া।
. ধারা ২.৪.৪- ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে খেলার সময় দুর্নীতির প্রস্তাব পাওয়ার কথা আকসুর কাছে প্রকাশে ব্যর্থ হওয়া।
তিনটি অভিযোগই মেনে নিয়েছেন সাকিব। শাস্তি নিয়ে সাকিব আইসিসি’র সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে ফের মাঠে ফিরতে পারবেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
ওএফবি