ঢাকা অ্যাটাক ছবির পরিচালক দিপংকর দীপনের পরিচালনায় র্যাব ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের সহযোগিতায় ছবিটি প্রযোজনা করবে থ্রি হুইলারস লিমিটেড।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণার বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রথম ওয়াইল্ড লাইফ অ্যাকশন থ্রিলার ছবি ‘অপারেশন সুন্দরবন’ এর ডিজিটাল লোগো ও পোস্টার উন্মোচন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
এসময় চলচিত্র অভিনেতা রিয়াজ বলেন, সমুদ্রের অববাহিকায় অবস্থিত সুন্দরবন। বাংলাদেশের প্রাকৃতির ফুসফুস এ বৃহত্তর ম্যানগ্রাভ বনে ৪শ বছরের দস্যুতার ইতিহাস। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে র্যাব যে অসাধ্য-সাধন করেছেন মাত্র ১০ বছরে এটা একটা বিশাল ব্যাপার। এখন সুন্দরবন দস্যুমুক্ত। আজ আমরা অপারেশন সুন্দরবন নামে একটি অসাধারণ ছবির প্লানিং করতে পেরেছি। চলচিত্রের ক্রান্তিলগ্নে দাঁড়িয়ে আমার কাছে মনে হচ্ছে, যেন এ অন্ধকারের মানুষগুলো যেভাবে আলোর পথে এসেছে, ঠিক সেই ভাবে চলচিত্র অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছে। আমি আজকের অনুষ্ঠানের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ছবিটির পরিচালক দিপংকর দীপন বলেন, ‘অপারেশন সুন্দরবন’ মুভিটির মাধ্যমে র্যাবের সুন্দরবনের দুঃসাহসিক সব অভিযানের পাশাপাশি এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে একসময় দস্যুদের অবাধ বিচরণ ছিল। যার ফলে সুন্দরবন নিয়ে সাধারণ মানুষের ভয় ছিল। সুন্দরবনের মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য মাছ ধরা ও মধু সংগ্রহ করতে পারত না। এখন সুন্দরবন দস্যুমুক্ত। র্যাবের এই দুঃসাহসিক অভিযানকে উপজীব্য করেই নির্মিত হচ্ছে ‘অপারেশন সুন্দরবন’।
র্যাবের মহাপরিচালক ড. বেনজির আহমেদ বলেন, দিপংকর দীপন একজন খ্যাতিমান পরিচালক। তার পরিচালিত ঢাকা অ্যাটাক যেমন দর্শকপ্রিয় ছবিতে পরিণত হয়েছে। তেমনি অপারেশন সুন্দরবন দর্শক প্রিয় ছবি হবে। এ ছবির মাধ্যমে যে আয় হবে, তা আত্মসমর্পণকরা বনদস্যু ও দস্যুদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কল্যাণে ব্যবহারের ঘোষণা দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৯
এসএইচ