শুক্রবার (১ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে শীতকালীন মৌসুমী পথনাটক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের আয়োজনে ‘শিল্পের আলোয় জ্বালি প্রাণের আলো’ প্রতিপাদ্যে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
উদ্বোধনী আলোচনায় অতিথি ছিলেন নাট্যজন মামুনুর রশীদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। আলোচনায় অংশ নেন পরিষদের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, পরিষদের সদস্য রতন সিদ্দিকী প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মেদ গিয়াস। সভাপতিত্ব করেন পরিষদ সভাপতি মান্নান হীরা।
অনুষ্ঠানে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, অনেকেই বলে থাকেন পথনাটক শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু আমি মনে করি, পথনাটক কখনও শেষ হবে না। টানা ২৮ বছর ধরে পথনাটক পরিষদ শীতকালীন এ পথনাটক প্রদর্শনীর আয়োজন করে আসছে। এটা বড় ব্যাপার। এরশাদবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে তারা দেশের প্রয়োজনে অনেক বড় দায়িত্ব পালন করে আসছে। এখন কাজ করে যাচ্ছে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার জন্য।
‘সারা বিশ্ব এখন এক ভয়ানক সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তবে আমরা টের পাচ্ছি না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদেরও গ্রাস করে নিচ্ছে। পাশাপাশি বসে থেকেও কেউ কারো সঙ্গে কথা বলি না, স্মার্ট ফোন নিয়েই ব্যস্ত থাকি। ’
নতুন প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তোমরা অপেক্ষা করো, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই দেখতে পাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করছে। সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদেরকে এখনই সচেতন হতে হবে। সর্বোপরি আমাদেরকে মানুষ হতে হবে। মানুষ হতে হলে অবশ্যই বই পড়তে হবে।
আলোচনা শেষে শুরু হয় পথনাটক প্রদর্শনী। এতে আরণ্যক নাট্যদল পরিবেশন করে তাদের পথনাটক ‘জল ও জননীর গল্প’; নাটকটি রচনা করেছেন মান্নান হীরা ও নির্দেশনা দিয়েছেন ইসতিয়াক হোসেন, ভিশন থিয়েটার প্রদর্শন করে নাটক ‘প্রতিপক্ষ’; নাটকটি রচনা করেছেন মলয় ভৌমিক এবং নির্দেশনা দিয়েছেন শেখ ফিরোজ আহমদ বাবু, মৈত্রী থিয়েটার পরিবেশন করে নাটক ‘ত্যাজ’; নাটকটি রচনা করেছেন দেবব্রত সিংহ এবং নির্দেশনা দিয়েছেন কাজল মজুমদার এবং পদাতিক নাট্যসংসদ পরিবেশন করে তাদের নাটক ‘নুরু মিয়ার কিচ্ছা’; নাটকটি রচনা করেছেন ইকরামুল হাসান শাকিল এবং নির্দেশনা দিয়েছেন পদাতিক সংসদের নির্দেশনা দল।
প্রতি বছরের মতো এবারও শহরে বিভিন্ন প্রান্তে প্রতি শুক্রবার একদিন করে প্রদর্শিত হবে সেই পথনাটক। আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ৮ নভেম্বর রাজধানীর দনিয়ার মাসুদ মঞ্চে, ২২ নভেম্বর ও ৬ ডিসেম্বর মিরপুরে, ২৯ নভেম্বর শিল্পকলা একাডেমি মাঠে, ২০ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে, ১৫ নভেম্বর গাজীপুরে এবং ২৭ ডিসেম্বর টঙ্গীতে অনুষ্ঠিত হবে এ প্রদর্শনী।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৯
ডিএন/জেআইএম