এর আগে টানা পাঁচবার এই উৎসবের উদ্বোধন করেন অমিতাভ বচ্চন। অবশ্য এবার তারই উদ্বোধন করার কথা ছিল।
অমিতাভের না আসার কারণ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অসুস্থতার কারণে এবার তিনি উপস্থিত হতে পারলেন না। না আসতে পারলেও তিনি এই উৎসবের সাফল্য কামনা করেছেন। তবে উৎসবে উপস্থিত হওয়ার জন্য শাহরুখ খান, রাখী গুলজার ও মহেল ভাট’র প্রতি কৃতজ্ঞতা। ’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শাহরুখের সঙ্গে মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। ছিলেন রঞ্জিত মল্লিক, মাধবী মুখোপাধ্যায়, গৌতম ঘোষ, সন্দীপ রায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, ইন্দ্রানী হালদার, দেব, মিমি, নুসরাত জাহান, শতাব্দী রায়, সোহম, শুভশ্রী, আবির, পরমব্রত প্রমুখ।
উদ্বোধনী পর্ব শেষে শাহরুখ বলেন, ‘ভালোলাগা এখানে আমাকে বারবার টেনে আনে, দ্বিধাহীন ছুঁটে আসি। এখানে আসলে ভীষণ রকমের আনন্দ পাই। এই কলকাতা আমার ভালো লাগার শহর। সাহিত্য থেকে সিনেমা- অনেক কিছু শিখতে পেরেছি এই কলকাতা থেকে। যে কারণে ডাক পেলেই ছুঁটে আসি। অবশ্য সৌরভ গাঙ্গুলীর মাধ্যমে আমি প্রথম কলকাতা চিনেছি। আর বারবার দিদির ডাকে সাড়া দিতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। ’
৮ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব চলবে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। উৎসবে দেখানো হবে শতবর্ষের বাংলা সিনেমা। থাকবে সত্যজিৎ রায়ের ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ ও ঋত্বিক ঘটকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’। এ বছর ‘মেঘে ঢাকা তারা’ সিনেমার ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। এবার উৎসবে ২৪টি দেশের ৫৬ জন প্রতিনিধি এবং ভারতের ৬০ জন প্রতিনিধি অংশ নেবেন। উৎসবের ফোকাস কান্ট্রি ‘জার্মানি’। উৎসবে জার্মানির ৪২টি সিনেমা দেখানো হবে।
এর আগে ১ নভেম্বর বিকেলে কলকাতার শিশির মঞ্চ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ২৫তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়। এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান ও চলচ্চিত্র পরিচালক রাজ চক্রবর্তী, রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, ক্রীড়া ও যুবকল্যাণমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, চিত্রনায়িকা কোয়েল মল্লিক, চিত্রনায়ক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, উৎসব কমিটির মহাপরিচালক বিবেক কুমার প্রমুখ। সে সময় চলচ্চিত্র উৎসবের লোগো উন্মোচন করা হয়।
উৎসবের ২৫তম আসরে ৭৬টি দেশের ২১৪টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, ১৫২টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র দেখানো হবে কলকাতার ১৭টি প্রেক্ষাগৃহে। উৎসবে থাকছে বাংলাদেশের দুটি ছবি, ‘আলফা’ ও ‘চন্দ্রাবতী কথা’।
এবারের কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার হিসেবে সেরা বিদেশি সিনেমার জন্য ৫১ লাখ রুপি দেওয়া হবে। আর শ্রেষ্ঠ পরিচালককে দেওয়া হবে ২১ লাখ রুপি। এর সঙ্গে পাবেন ‘রয়েল বেঙ্গল গোল্ডেন টাইগার ট্রফি’।
আর সেরা ভারতীয় সিনেমার জন্য দেওয়া হবে হীরালাল সেন স্মৃতি পুরস্কার। শ্রেষ্ঠ নির্দেশক পাবেন ৭ লাখ রুপি ও শ্রেষ্ঠ সিনেমার জন্য ৫ লাখ রুপি। পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমার জন্য দেওয়া হবে ৫ লাখ রুপি এবং শ্রেষ্ঠ তথ্যচিত্রর জন্য দেওয়া হবে ৩ লাখ রুপি। এছাড়া এশিয়ার শ্রেষ্ঠ সিনেমার থাকছে নেটপ্যাক পুরস্কার।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
ওএফবি