মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কনসার্টে গান করতে খানিক দেরি করে মঞ্চে উঠেন কার্তিক দাস বাউল। অবশ্য দেরি হওয়ার কারণ সম্পর্কেও শিক্ষার্থীদের অবগত করেন তিনি।
তিনি জানান, রাস্তায় দীর্ঘ জ্যাম। এর মধ্যে আবার মাঝরাস্তায় এসে তার গাড়ি খারাপ হয়ে যায়। তাই মঞ্চে উঠতে তার দেরি হয়। এর জন্য অনুষ্ঠান দেখার অপেক্ষারত শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি। কিন্তু কাজের কাজ হলো না।
শিল্পীর অভিযোগ, ক্ষমা চাওয়ার সত্ত্বেও মঞ্চের নীচ থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। তা সত্ত্বেও প্রায় ঘণ্টাদুয়েক ধরে অনুষ্ঠান করেন কার্তিক দাস বাউল। অনুষ্ঠান বেশ উপভোগও করেন শিক্ষার্থীরা।
তবে অনুষ্ঠান শেষ করে বের হওয়ার সময় তাকে বেশ কিছুক্ষণ আটকে রাখা হয়। পরে কিছু লোকের সহায়তায় ছাড়া পান তিনি।
শিল্পী বলেন, দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে আমাকে কখনো এমন পরিস্তিতিতে পড়তে হয়নি। এক নিন্দনীয় অভিজ্ঞতা। আমি খুবই হতাশ, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। এ ঘরানার অনুষ্ঠানে আগামীতে বেশ ভেবে চিন্তেই গান করতে যাবো। ’
অবশ্য এই ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা। এর আগে ইমন চক্রবর্তী, সৌমলতাসহ বেশ কয়েকজন শিল্পী হেনস্তার শিকার হন। এবার এই তালিকায় যুক্ত হলেন কার্তিক দাস বাউল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
ওএফবি