সত্তর দশকের এই অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবরটি পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তার ভাইয়ের মেয়ে আলভিনা সাহা।
তিনি জানান, মিস শেফালি কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন।
কলকাতার ফিরপো হোটেল থেকে পার্ক স্ট্রিট, গ্র্যান্ড হোটেলে গানের সুরে নাচ করতে করতে আরতি দাস হয়ে ওঠেন মিস শেফালি। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে।
আরতি দাসের জন্ম বাংলাদেশে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় মাত্র ১১ বছর বয়সে তিনি পরিবারের সঙ্গে কলকাতা চলে যান। চরম অর্থকষ্টে বেঁচে থাকার তাগিদে ১৩ বছর বয়সে ফিরপো হোটেলের লিডো রুমে নাচ শুরু করেন তিনি। অভিনেতা তরুণ কুমার তাকে প্রথম পরিচয় করিয়ে দেন। সেই থেকে শুরু। বিস্মিত করেছেন সবাইকে।
শেফালি বিয়ে করেননি। শুধু মন দিয়ে উজাড় করে নেচেছেন। পরিবারের সবার দায়িত্ব একাই কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার শেষ জীবনটা কেটেছে চরম অর্থকষ্টে।
সত্যজিৎ রায়ের ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ এবং ‘সীমাবদ্ধ’ সিনেমায় বিশেষ চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাকে। পাশাপাশি ‘বহ্নিশিখা’, ‘পেন্নাম কলকাতা’, ‘চৌরঙ্গী’, ‘রঙ্গিণী’, ‘সম্রাট সুন্দরী’, ‘সাহেব বিবি গোলাম’সহ বহু সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন শেফালি।
গত বছর মিস শেফালির বায়োপিক ও ওয়েব সিরিজ নির্মাণের করার ঘোষণা দিয়েছিলেন অভিনেত্রী ও পরিচালক কঙ্কনা সেন শর্মা।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২০
জেআইএম