সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি জুরি যৌন নিপীড়নের অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। তবে সবচেয়ে গুরুতর একটি অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছেন ৬৭ বছর বয়সী এই চলচ্চিত্র নির্মাতা।
ওয়েনস্টেইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ২০০৬ সালে অভিনেত্রী জেসিকা মানকে ধর্ষণ এবং ২০১৩ সালে প্রযোজনা সহকারী মিমি হ্যালেইকে যৌন নির্যাতন করেছেন। এই অপরাধে তার পাঁচ বছর থেকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে যৌন নিপীড়নের আরেকটি গুরুতর অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছেন তিনি। যার জন্য তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও হতে পারতো।
গত ৬ জানুয়ারি নিউইয়র্কের আদালতে শুরু হয় হার্ভে ওয়েনস্টেইনের বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি। এই শুনানি প্রায় ছয় সপ্তাহ ধরে চলার পর তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হলো। আগামী ১১ মার্চ আদালত অপরাধের সাজা ঘোষণা করবেন।
বেশ কয়েকবার আইনজীবী বদলে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চেষ্টা করেছিলেন হার্ভে ওয়েনস্টেইন। সর্বশেষ তিনি শিকাগোর ডোনা রোটুনোকে মামলা লড়তে নিয়োগ দিয়েছিলেন। এই আইনজীবীর যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত অনেক ব্যক্তিকে সাফল্যের সঙ্গে খালাস করতে ইতোপূর্বে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু তাতেও কাজ হলো না। তবে ওয়েনস্টেইনের আইনজীবী জানিয়েছেন, তারা পুনরায় আপিল করবেন।
সর্বপ্রথম ২০১৭ সালে ওয়েনস্টেইনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের দু’টি প্রতিবেদন প্রকাশ করে নিউইয়র্ক টাইমস ও নিউইয়র্কার। এতে পুরো বিশ্বের রূপালি জগতে কাঁপুনি ধরে যায়। সে থেকে এই প্রযোজকের বিরুদ্ধে একের পর এক ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনেছেন অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলিসহ হলিউড সংশ্লিষ্ট প্রায় ৯০ জন নারী। এই ঘটনাক্রমে সূত্রপাত হয় বিশ্বজুড়ে ‘#মিটু’ আন্দোলনের। যার মাধ্যমে বলা হতে থাকে ‘আমিও নিপীড়নের শিকার হয়েছি’।
অভিযোগের দু’বছরের মাথায় ওয়েনস্টেইনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হলো। আর ‘#মিটু’ আন্দোলনও প্রথম সাফল্য পেল।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
জেআইএম