২০১৭ সালে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ট্রেন যোগে দিনাজপুর যাওয়ার পথে রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মিজু আহমেদের মৃত্যু হয়। তখন শুটিংয়ের উদ্দেশ্যে তিনি দিনাজপুরে যাচ্ছিলেন।
তার মৃত্যুদিবস অনেকটা নীরবেই কেটে যাচ্ছে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক ভক্তরাই মিজু আহমদকে স্মরণ করে লিখেছেন।
১৯৫৩ সালের ১৭ নভেম্বর কুষ্টিয়ার জন্মগ্রহণ করেন মিজু আহমেদ। শৈশবকাল থেকে তিনি থিয়েটারের প্রতি খুবই আগ্রহী ছিলেন। পরবর্তী তিনি কুষ্টিয়ার স্থানীয় একটি নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত হন।
১৯৭৮ সালে ‘তৃষ্ণা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। কয়েক বছর পরে তিনি ঢালিউড চলচ্চিত্র শিল্পে অন্যতম সেরা একজন খলনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। এছাড়া তিনি তার নিজের চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা ফ্রেন্ডস মুভিজের ব্যানারে বেশ কয়েকটি সিনেমা প্রযোজনা করেন।
মিজু অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে তৃষ্ণা (১৯৭৮), মহানগর (১৯৮১), সারেন্ডার (১৯৮৭), চাকর (১৯৯২), সোলেমান ডাঙ্গা (১৯৯২), ত্যাগ (১৯৯৩), বশিরা (১৯৯৬), আজকের সন্ত্রাসী (১৯৯৬), হাঙ্গর নদী গ্রেনেড (১৯৯৭), কুলি (১৯৯৭), লাঠি (১৯৯৯), লাল বাদশা (১৯৯৯), গুন্ডা নাম্বার ওয়ান (২০০০), ঝড় (২০০০), কষ্ট (২০০০), ওদের ধর (২০০২), ইতিহাস (২০০২), ভাইয়া (২০০২), হিংসা প্রতিহিংসা (২০০৩), বিগ বস (২০০৩), আজকের সমাজ (২০০৪), মহিলা হোস্টেল (২০০৪), ভন্ড ওঁঝা (২০০৬) ইত্যাদি।
কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘ত্রাস’ ছবিতে অভিনয় করে মিজু আহমেদ সেরা অভিনেতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২০
জেআইএম