নাট্যদল প্রাঙ্গণেমোর থেকে একইসঙ্গে দলের অর্ধেকেরও বেশি নাট্যকর্মী দলত্যাগ করেছেন। এর মধ্যে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যসহ মোট ২৭ জন নাট্যকর্মী প্রাঙ্গণেমোর দলপ্রধান বরাবর ১২ ডিসেম্বর দলত্যাগের চিঠি দিয়েছেন।
দলত্যাগ প্রসঙ্গে দলের স্থায়ী সদস্য মাইনুল তাওহীদ বলেন, দীর্ঘদিনের ক্রমাগত অনিয়ম আর ভাবনাগত অমিলের কারণে শেষ পর্যন্ত আর এই দলে থাকা সম্ভব হলো না। যেমন, আমি নিজে দলের অর্থের দায়িত্বে থাকলেও আমাকে পাশ কাটিয়ে অর্থের সমস্ত হিসাব দলপ্রধান অনন্ত হিরা নিজে কুক্ষীগত করে রেখেছিলেন।
দলের আরেক স্থায়ী সদস্য জাহিদুল ইসলাম বলেন, দলটি আসলে পারিবারিক থিয়েটার হয়ে উঠেছিলো, এখানে সাধারণ সদস্যদের কোনো সম্মান ও মূল্য ছিলো না। তাদের মতামতের কোনো গুরুত্ব ছিল না।
দলত্যাগ প্রসঙ্গে স্থায়ী সদস্য সরোয়ার সৈকত বলেন, একসঙ্গে ২৭ জন সদস্যের দলত্যাগই প্রমাণ করে দলটির অবক্ষয় কোন পর্যায়ে। এটা আসলে সাধারণ সদস্যদের দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। দলের ভেতরে যে অন্যায় আর অনিয়মের পাহাড় তৈরি হয়েছে, সেই দায়ভার আসলে সাধারণ সদস্যরা টানতে চায় না। তাই নিজেদের শ্রম, মেধা আর ঘামে একদিন যে প্রাণের দল তৈরি করেছিল, আজ সেই প্রিয় দল থেকে তারা বেরিয়ে গেলো।
প্রাঙ্গণেমোর ছেড়ে যেতে ২৭ জন স্বাক্ষর করেছেন। তারা হলেন মাইনুল তাওহীদ, জাহিদুল ইসলাম, সরোয়ার সৈকত, ইউসুফ পলাশ, তৌফিক আজীম রবিন, রবি খান, মীর সালাউদ্দিন বাবু, আবু হায়াত মাহমুদ জসিম, সাইম সিদ্দিকী অপু, রিগ্যান সোহাগ রত্ন, শুভেচ্ছা রহমান, প্রবন বন্ধু নাথ তুহিন, সীমান্ত আমীন, আমিরুল মামুন, অনিন্দ্র কিশোর, ডালিম মিলাদ, তৌহিদ বিপ্লব, সাইদুর রহমান নয়ন, আহমেদ সুজন, লিটু রায়, রুহুল আমীন রাজা, মো. রাকিব হাসান খান রওনক, মাহমুদুল হাসান, আব্দুল হাই, এম এম আর মিঠুন, ঊর্মিল মজুমদার।
দলপ্রধানের আর্থিক অস্বচ্ছ্বতা, অসততা, স্বেচ্ছাচারিতা ও নানাবিধ অনিয়ম-ভাবনাগত মতপার্থক্যের কারণে দল ছাড়ছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২০
ওএফবি