ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন ৮৪৫ কোটি ডলারের চুক্তি করলো আইকনিক চলচ্চিত্র নির্মাতা এমজিএমের (মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ার) সঙ্গে। এর মাধ্যমে হলিউডের একটি অধ্যায় ঢুকে গেল ইতিহাসের পাতায়; আর শুরু হতে যাচ্ছে নতুন এক যুগের।
হালের আমলে অনলাইনে ভিডিও স্ট্রিমিং সেবা নেটফ্লিক্স ও ডিজনি প্লাসের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে থাকতেই বেজোস জেমস বন্ডের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এমজিএম কিনতে তার পকেট থেকে এত ব্যাপক অর্থ খরচের পদক্ষেপ নিলেন, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৭১ হাজার ৮২৫ কোটি টাকার সমপরিমাণ।
এমজিএম হলিউডের অন্যতম ক্ল্যাসিক একটি স্টুডিও। টম অ্যান্ড জেরি, দ্য উইজার্ড অব অজ, জেমস বন্ডের মতো জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো যে তাদেরই। জেমস বন্ড ছাড়াও রকি, দ্য হবিট, ক্রিড, দ্য হ্যান্ডমেইডস টেল, রোবোকপ, লিগ্যালি ব্লন্ডের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং এপিক্স টিভি নেটওয়ার্কেরও মালিকানা রয়েছে এমজিএমের।
দুদিন আগে ৮৪৫ কোটি ডলারে এমজিএম কিনে নেয় বর্তমান বিশ্বের সর্বোচ্চ ধনী জেফ বেজোসের প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন। গত শতাব্দীতে একের পর এক প্রযুক্তিগত জটিলতায় ঝিমিয়ে পড়া স্টুডিওটি এ ধরনের একটি টেক জায়ান্টের হাতে পড়ায় তাদের নিয়ে নতুন করে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন অনেকে।
২০১০ সালে দেউলিয়া হওয়ার ঘোষণা করা হয় স্টুডিওটিকে। তারা সিনেমার চেয়ে ঘরোয়া বিনোদন ও টিভি অনুষ্ঠানের দিকে মনোনিবেশ করেন। অবশ্য তখনো জেমস বন্ডের মতো ইতিহাসের অন্যতম সেরা মুভি ফ্র্যাঞ্চাইজির হাত ধরে কোনোভাবে টিকে থাকে এমজিএম। কান্টজের কথায়, ‘জেমস বন্ডই একমাত্র ফিল্ম ফ্র্যাঞ্চাইজি, যা বাকি ছিল। অন্য সব কিছুই কেনা হয়ে গিয়েছিল। ’
আর এমন অবস্থায় এগিয়ে এরো অ্যামাজন। বিনোদন জগতে নিজেদের অবস্থান শক্তপোক্ত করতে ক্রমাগত অর্থ খরচ করে চলেছে অ্যামাজন। এক্ষেত্রে এমজিএমের বিশাল ফিল্ম লাইব্রেরি নিশ্চিতভাবেই তাদের একধাপ এগিয়ে দেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২১
এমকেআর