বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘ধর্ষণ’ ও প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন কঙ্গনা রনৌতের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী। অভিযোগ ওঠার পরই গা ঢাকা দিয়েছিলেন ওই দেহরক্ষী।
কর্ণাটকের এক গ্রামের বাসিন্দা অভিযুক্ত কুমার হেগড়েকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার বাড়ি থেকেই। তিনি মুম্বাই থেকে পালিয়ে নিজের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে যায় মুম্বাই পুলিশের একটি দল। সেখানেই আটক করা হয় তাকে।
ঠিক কী অভিযোগ হেগড়ের বিরুদ্ধে? নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, প্রায় আট বছর ধরে কুমার হেগড়েকে চেনেন তিনি। গত বছর জুন মাসে কুমার ওই মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও তৈরি হয় কুমারের। গত ২৭ এপ্রিল নির্যাতিতার কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকাও নেন তিনি। তারপর আর ওই মহিলার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেননি কুমার।
ইতোমধ্যে অন্য এক বন্ধুর মাধ্যমে পেশায় বিউটিশিয়ান ওই মহিলা জানতে পারেন কুমার তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চান না। তার ঠিক বেশ কয়েকদিন পর এক মহিলা নিজেকে কুমারের মা পরিচয় দিয়ে ওই তাকে ফোন করেন। কুমারের অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়েছে বলেও জানান। তাই কুমারের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেও বারণ করে দেন ফোনের অপরপ্রান্তের ওই মহিলা। এরপরই লিভ ইন পার্টনারের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন ওই মহিলা।
গত ১৯ মে কুমারের বিরুদ্ধে ডিএন নগর থানায় এফআইআর দায়ের করে মুম্বাই পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ এবং ৩৭৭ ধারায় মামলা রুজু করেছে। প্রতারণার অভিযোগে ৪২০ ধারাতেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হওয়ায় একাধিকবার কুমার হেগড়ের সঙ্গে দেখা গেছে কঙ্গনা রনৌতকে। এমনকি কুমারের জন্মদিন উদযাপন করতেও দেখা গেছে অভিনেত্রীকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২১
এমকেআর