হলিউডের অনেক তারকা ভালোবেসে বিয়ের মতো পবিত্র সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এসব তারকাদের অনেকের সংসার টিকেছে মাত্র কয়েকদিন, কারও কয়েক ঘণ্টা।
আমেরিকান অভিনেত্রী, সংগীত শিল্পী জেনিফার লোপেজ ১৯৯৭ সালের ওজানি নোয়াকে বিয়ে করেছিলেন। এই বিয়ে টিকেছিল মাত্র মাত্র ৩১৩ দিন। ১৯৯৮ সালেই তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর ২০০১ সালে ক্রিস জাডকে বিয়ে করেন এই গায়িকা। এই সংসারও স্থায়ী হয়নি। মাত্র ২১৮ দিনের মাথায় ভেঙে যায় এই সংসার।
আমেরিকান-কানাডিয়ান অভিনেত্রী লরেন হলি ও অভিনেতা জিম ক্যারি ১৯৯৬ সালে বিয়ে করেন। বিয়ের পরেই তারা দু’জনেই আবিষ্কার করেন, অন্যজনের অন্য কারও সঙ্গে প্রেম চলছে। তাদের সংসার ৩০৯ দিনের মাথায় ভেঙে যায়।
টম গ্রিন ও ড্রিউ ব্যারিমোরের সংসার টিকেছিল ১৬৩ দিন। তবে টম এবং ড্রিউয়ের সম্পর্ক এর পরেও ভালোই থেকেছে।
মাত্র নয় দিনের মাথায় ভেঙে ছিল সুপারমডেল কারমেন ইলেকট্রা ও ডেনিস রডম্যানের বিয়ে। ১৯৯৮ সালে বিয়ে করেন তারা। যদিও বিচ্ছেদ পেতে সময় লেগেছিল ১২৯ দিন।
২০০৬ সালে বিয়ে করেন জেনিফার এসপোসিতো ও ব্র্যাডলি কুপার। ১২২ দিনের মাথায় বিচ্ছেদ হয় তাদের। তবে শান্তিপূর্ণ ভাবেই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারা দু’জনে।
ক্রিম হামফ্রিস ও কিম কারদাশিয়নের বিয়ে টিকেছিল মাত্র ৭২ দিন। ২০১১ সালে অগস্ট মাসে বিয়ে করেন তারা। এর কিছু দিনের মধ্যেই বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন তারা।
১৯ বছরের ড্রিউ ব্যারিমোর ড্রিউ আচমকাই বিয়ে করেন জেরেমি থমাসকে। তাদের বিয়ে টিকেছিল মাত্র ৩৯ দিন।
ট্রেসি এডমন্ড ও এডি মার্ফি: ২০০৮ সালে বিয়ে করেন। বিয়ের ১৪ দিনের মাথায় বিচ্ছেদের ঘোষণা তারা। তবে ঠিক তার পরেই নিমন্ত্রিত অতিথিদের বিয়ের এবং বিচ্ছেদের খাওয়া একসঙ্গে খাওয়ান দু’জনে।
রূপটানশিল্পী এরিকা কোইকে ২০১৯ সালে নিকোলাস কেজকে বিয়ে করেন। চার দিনের মাথায় ঝগড়া হয় তাদের। এই ঝগড়ার কারণেই চারদিনের মাথায় বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন তারা।
জেসন আলেকজান্ডার ও ব্রিটনি স্পিয়ার্স ২০০৪ সালে বিয়ে করেন। তারা বাল্যবন্ধুও ছিলেন। তাদের বিয়ে টিকেছিল মাত্র ৫৫ ঘণ্টা।
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২১
এনএটি