টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস এসোসিশেন অব বাংলাদেশ (টেলিপ্যাব)-এর নির্বাচন কমিশনার মাসুম আজিজ, নরেশ ভূইয়া ও বৃন্দাবন দাস পদত্যাগ করেছেন। তিনজনের স্বাক্ষরিত এক চিঠি সংগঠন সংশ্লিষ্টদের দেওয়া হয়েছে।
পদত্যাগপত্র থেকে জানা যায়, নিয়ম অনুযায়ী আগামী ১১ ডিসেম্বর সংগঠনটির নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্য নির্বাচনী তফসিলও ঘোষণা করা হয়। প্রার্থীতা বাছাই নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে পদত্যাগ করেন এই তিন নির্বাচন কমিশনার।
প্রার্থীতা যাচাই-বাছাই শেষে ১৭ জন প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল করেন নির্বাচন কমিশনার। কিন্তু আপিল বিভাগের প্রধান খায়রুল আলম সবুজের নিকট মনোনয়নপত্র পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল করেন বাদ পড়া ১৫ জন প্রার্থী। এরপর নির্বাচন কমিশনকে কোনোরকম অবহিত না করে, কোনো শুনানী না করে নির্বাচনী তফসিল প্রক্রিয়া ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিতের সুপারিশ করেন এবং নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শন করেন।
এছাড়াও আগামী ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় সংশ্লিষ্ট সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা আহ্বান করেন। আপিল বিভাগের প্রধান খায়রুল আলম সবুজের এমন একতরফা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষুব্ধ হন নির্বাচন কমিশনারগণ।
আপিল বিভাগের প্রধান খায়রুল আলম সবুজের এই কর্মকাণ্ড বে-আইনী, এখতিয়ার বহির্ভূত এবং সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অযাচিত হস্তক্ষেপের শামিল। এই অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের পক্ষে স্বাধীনভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনারগণ। নির্বাচন কমিশন মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে সর্বসম্মতিতে পদত্যাগ করেছেন বলেও পদত্যাগপত্রে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে খায়রুল আলম সবুজের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি ঢাকার বাইরে ছিলাম, রোববার চিঠি পেয়েছি। তাদের অভিযোগ নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই। একসঙ্গে কাজ করতে গেলে মত পার্থক্য থাকে তেমন একটি বিষয়। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সবাইকে নিয়ে বসবো, মিটিং কল করেছি। আশা করি সমাধান হয়ে যাবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২১
এনএটি