ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

টগি ফান ওয়ার্ল্ডে এসে মুগ্ধ ভাইপো মীর ও কাকা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২২
টগি ফান ওয়ার্ল্ডে এসে মুগ্ধ ভাইপো মীর ও কাকা টগি ফান ওয়ার্ল্ডে মীর আফসার আলী ও ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ী। ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: ভারতীয় বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো মীরাক্কেলের উপস্থাপক ও কৌতুক অভিনেতা মীর আফসার আলী এবং লেখক ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ী সম্প্রতি বাংলাদেশে এসেছেন।

ভাইপো মীর ও কাকা ইন্দ্রজিৎ নিজেদের ফুড ব্লগিং ইউটিউব চ্যানেল ‘ফুডকা’র কাজে ঢাকা ও এর আশেপাশের বেশকিছু এলাকা ঘুরছেন।

কিন্তু সোমবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় হঠাৎ তাদের দেখা গেল রাজধানীর বসুন্ধরা সিটির লেভেল ৮ থেকে ১৮ পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ভার্চ্যুয়াল থিম পার্ক টগি ফান ওয়ার্ল্ডে। যেখানে বাস্তব খেলাধুলা এবং ভার্চ্যুয়াল রিয়্যালিটির মিশ্রণে অসাধারণ সব আয়োজন রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বসুন্ধরা সিটির টগি ফান ওয়ার্ল্ডে মীর ও তার ‘ফুডকা’র দল উচ্ছ্বাস নিয়ে খেলছে লেজার ট্যাগ, পেইন্ট বল, ভার্চ্যুয়াল রিয়্যালিটি ও অগমেন্টেড রিয়্যালিটি গেমের মতো রোমাঞ্চকর সব গেম। অনেক রকম খেলার সুযোগ পেয়ে ভাইপো ও কাকা রীতিমতো ছুটলেন এক রাইড থেকে অন্য রাইডে! এ যেন খাওয়ার গল্প বাদ দিয়ে নিজেদেরকে নিয়ে হারিয়ে যাওয়া অন্য কোনো এক জগতে।  

ফুডকা টিমের সঙ্গে আরো ছিলেন ‘মীরাক্কেল’খ্যাত বাংলাদেশের সজল এবং বাংলাদেশের অভিনেতা ও ফুড ব্লগার আদনান হিল্লোল। প্রায় তিন ঘণ্টা বিভিন্ন গেমস খেলে ও রাইডে চড়েও যেনে তাদের কোনো ক্লান্তি ছিল না।

এমন অভিজ্ঞতা নিয়ে মীর আফসার আলীর সঙ্গে কথা হতে তিনি জানান, খাওয়ার গল্প তো রোজকার কথা, কিন্তু বাংলাদেশে এসে যদি এই থিম পার্কে তিনি না আসতেন, তবে তার এই ভ্রমণটাই বৃথা যেত।  

মীর বলেন, ‘টগি ফান ওয়ার্ল্ডে ঢোকার আগে সত্যি আমাদের ধারনা ছিল না জায়গাটা এতো বিশাল। মোট ১১টা ফ্লোর দেখলাম এখানে। আমি এরকম কোনো জায়গায় এর আগে কখনো যাইনি। মনেই হচ্ছে না আমরা ঢাকায় এসেছি, মনে হচ্ছে দুবাইতে রয়েছি! এমন গেইমিং জোন, এতো অপশন দেখে সত্যি অসম্ভব ভালো লাগছে। আমরা বাচ্চা বয়সে ফিরে গেলাম। ’

গেম খেলা প্রসঙ্গে এই কৌতুক অভিনেতা বলেন, ‘এখানে গাড়ি চালিয়েছি, রেসিং করলাম, ভার্চ্যুয়াল রিয়্যালিটি ট্রাই করলাম, স্পেস জোনে গেলাম- সব মিলিয়ে দারুণ লেগেছে টগি ফান ওয়ার্ল্ড। যদি কেউ এই গেম জোনে না আসেন, তবে বুঝতে পারবে না যে এই ভবনেই এতো বড় আয়োজন করা আছে। বিদেশের গেম জোনগুলোতে গেলে যে ধরণের একটা অনুভূতি কাজ করে সেই একই অনুভূতি এখানে পাওয়া যাচ্ছে। আর কিছুর জন্য না হলেও অন্তত টগি ফান ওয়ার্ল্ডের জন্য হলেও আবারো আমরা ঢাকায় আসবো। ’

সবশেষে মীর আফসার আলী বলেন, ‘‘২০১২ সালে প্রথম ঢাকায় এসেছিলাম। পরে ২০১৯ সালে যখন শেষবার ঢাকায় আসি, তখন প্ল্যান করে যাই বসুন্ধরা সিটির আল্টিমেট ফান ফ্যাক্টরিতে যাবোই যাব। কিন্তু করোনা মহামারির জন্য সুযোগ করে আসা হয়নি। তাই এবারের যাত্রায় লিস্টের শুরুতেই ছিল দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ এই ভার্টিক্যাল থিম পার্ক। কিন্তু এখানে এসে জানতে পারলাম ফান ফ্যাক্টরি আর নেই। শুনেই মনটা খারাপ হয়ে গেল। পরে আবার জানতে পারলাম বাচ্চাদের ‘টগি ওয়ার্ল্ড’ আর বড়দের ‘আল্টিমেট ফান ফ্যাক্টরি’ দুইটি মিলিয়ে একসঙ্গে নতুন রূপে এসেছে ‘টগি ফান ওয়ার্ল্ড’ অসাম সালা। ’’

একই সঙ্গে 'ফুডকা'র কাকা লেখক ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ীও টগি ফান ওয়ার্ল্ডে এসে বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। চমৎকার এই থিম পার্ক দেখে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

এদিকে মীরকে পেয়ে টগি ফান ওয়ার্ল্ডে আসা সব বয়সী মানুষের মাঝে আনন্দের উদ্ভাস ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। পাশাপাশি শিশুরাও মীরের সঙ্গে তাদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ভুল করেনি। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষদের সঙ্গে সাবলীলভাবে ছবি তোলার মাধ্যমে ‘ফুডকা’ তাদের এই ভ্রমণের ইতি টানে।

উল্লেখ্য, এই থিম পার্ক কেবল বাচ্চাদের আদলে তৈরি নয়, এখানে আয়োজন রয়েছে সব বয়সীদের জন্য। টগি ফান ওয়ার্ল্ডের কর্তৃপক্ষ বলছে, পুরো আয়োজনের মূল লক্ষ্য সবই যেন রোমাঞ্চ জয়ের আনন্দ মনে নিয়ে বেড়ে ওঠে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২২
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।