ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

দাবাং, মালাইকা অরোরা এবং ইমামির ‘ঝান্ডু বাম’

জাবেদ ইকবাল | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১০
দাবাং, মালাইকা অরোরা এবং ইমামির ‘ঝান্ডু বাম’

‘দাবাং’ ছবির ‘মুন্নি বদনাম হুয়ি ডার্লিং তেরে লিয়ে’ গানটি এখন পর্যন্ত চলতি বছরের সবচেয়ে হিট গান। আইটেম ড্যান্সার মালাইকা অরোরা খানের নাচের তালে তালে এই গানটি নিয়ে দর্শক এখন উন্মাতাল।

কিন্তু এই গান নিয়েই লেগেছিল ভীষণ ঝামেলা।

গানের এক জায়গায় ‘ঝান্ডু বাম’ শব্দটি ব্যবহার করায় ভীষণ চটেছে প্রসাধন ব্র্যান্ড ইমামি কোম্পানি। কারণ ‘ঝান্ডু বাম’ ইমামি কোম্পানির ব্যথানাশক মলমের নাম। তাই এত কিছু থাকতে গানে কেন ‘ঝান্ডু বাম’কে টানা হলো এ প্রশ্নের জবাব চেয়ে সপ্তাহখানেক আগে ছবিটির প্রযোজক আরবাজ খানকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছিল ইমামি কোম্পানি।

নোটিশে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি এই শব্দ দুটি গানটি থেকে বাদ না দেওয়া হয় তাহলে ইমামি কোম্পানি আদালতে যাবে। ইমামির বক্তব্য, এই গানে ঝান্ডু বাম শব্দটি ব্যবহারে শুধু প্রযোজকের লাভ হয়েছে। আর তাদের কোম্পানির পণ্য ঝান্ডু বামের বিক্রিতে ক্ষতি হয়েছে। তাই প্রযোজক আরবাজ খান কোনও ঝামেলায় না গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বির্তকের শেষ করতে চেয়েছিলেন। কেননা ছবিতে ২০ জায়গায় ‘ঝান্ডু বাম’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।

অবশেষে আলোচনার মাধ্যমে ছবির প্রযোজক ও ঝান্ডু বাম নির্মাতাদের মধ্যে চলা এই বির্তকের অবসান ঘটেছে। ছবির প্রযোজক আরবাজ খান এই বাম নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে সবকিছু মিটমাট করে নিয়েছেন। যে চুক্তির মধ্য দিয়ে বিষয়টি মিটমাট হয়েছে তাতে প্রধান শর্ত ছিল, দাবাং ছবির মুন্নি ওরফে মালাইকা অরোরা খান ‘ঝান্ডু বাম’-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করবেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দাবাং-এর প্রযোজক আরবাজ বলেন, ইমামি গ্রুপের সঙ্গে আমাদের সমস্যটা মিটে গেছে। তারা মালাইকাকে তাদের ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চেয়েছিল। আমরা তাদের সহযোগিতা করেছি। তারাও আমাদের প্রতি সহযোগী মনোভাব দেখিয়েছেন। আরবাজ আরও বলেন, এতে দু পক্ষেরই জয় হল। ঝান্ডু বাম এবং আমরা এখন অনেক বিষয়েই একজোট হয়ে কাজ করব।

অনেকের অবশ্য প্রশ্ন ছিল, দুই মাস আগে যখন দাবাং ছবির গান মুক্তি দেওয়া হয়েছিল তখন কেন ইমামি আপত্তি জানাল না। এ প্রসঙ্গে ইমামি কোম্পানির মালিক মোহান গোয়েনকার বলেন, আমরা ছবি মুক্তির অপেক্ষায় ছিলাম। ছবিটি দেখার পর আমরা আদালতে যাবার সিদ্ধান্ত নিই। কারণ ২০ বার ছবিতে ‘ঝান্ডু বাম’-এর নাম নেওয়া হয়েছে। দাবাং ছবির জনপ্রিয়তায় আমাদের খানিকটা অংশ আছে।

ভারতের বরেণ্য চলচ্চিত্র সমালোচক তারান আদর্শ অবশ্য ভিন্ন মত পোষণ করে বলেছেন, সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছে ইমামি এবং তাতে লাভও হয়েছে তাদের। এই গানের কারণে তাদের পণ্যের নাম সর্বত্র মানুষের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে আর ট্রাম কার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছেন মালাইকা অরোরা।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২২২৫, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।