ঢাকা: কারো সঙ্গে দেখা হলে আমরা সাধারণত হাত নেড়ে বা মুখেই অভিনন্দন জানিয়ে থাকি। করমর্দন তথা হ্যান্ডশেকের সঙ্গেও খুব ভালো পরিচয় রয়েছে সবার।
তবে দেশভেদে রয়েছে অভিবাদনের নানা রীতি। আর হওয়াটাই স্বাভাবিক। কথায় আছে না, ‘য্যায়সা দেশ, অ্যায়সা বেশ’।
চলুন দেখে নেওয়া যাক, ভিন্ন দেশের ভিন্ন কিছু মজার অভিবাদন রীতি। যার সঙ্গে আমাদের পরিচয় নেই বললেই চলে!
নিউজিল্যান্ড
নিউজল্যান্ডে ঐতিহ্যবাহী মাওরি রীতিতে অভিনন্দন জানানো হয়। এ রীতিকে তারা বলে হোংগি। নিয়ম অনুযায়ী, কারো সঙ্গে দেখা হলে নাকে নাক ঘষা দেয় তারা। এটিকে তারা ঈশ্বরের পাঠানো জীবনের নিশ্বাস বলে মানে।
তিব্বত
ছবিটি দেখে সবার কাছে ভেংচি বলে মনে হলেও, এটি আসলে তিব্বতিদের স্বাগত জানানোর রীতি। এটি চলে এসেছে খ্রিষ্টাব্দ নবম শতাব্দী থেকে। কথিত আছে, তিব্বতের রাজা লাং ডার্মার জিভ কালো ছিল বলে মানুষ তাকে খুব ভয় পেত। তাই তারা কারো সঙ্গে দেখা হলে জিভ বের করে প্রমাণ করে যে, তারা শয়তানের বংশধর নয়। অনেক সময় তারা বুকের ওপর হাত রেখেও অভিনন্দন জানায়।
তুভালু
তুভালুর স্বাগত জানানোর ঐতিহ্যবাহী নিয়ম হলো, একে অপরের গালে গাল লাগিয়ে গভীর শ্বাস নেয়া।
মঙ্গোলিয়া
মঙ্গোলিয়ানদের বাড়িতে নতুন অতিথির এলে তারা সিল্ক বা সুতির পট্টি তাদের দু’হাতে বেঁধে দেন। এসময় অতিথিরা একটু নিচের দিকে ঝুঁকে দাঁড়ায় আর তখনই তাদের হাতে এ পট্টি বেঁধে দেওয়া হয়।
ফিলিপাইন
ফিলিপাইনে অপেক্ষাকৃত কম বয়সীরা বড়দের ডান হাত নিজেদের কপালে ছোঁয়ায়। এক্ষেত্রে সবার একটাই প্রচেষ্টা, ‘মেনো পো’ বলার সঙ্গে সঙ্গেই যেন হাত কপালে ছোঁয়ানো হয়।
গ্রিনল্যান্ড
গ্রিনল্যান্ডে এস্কিমোরা অভিনন্দন জানানোর সময় নিজের নাক ও ওপরের ঠোঁট অপরের গালে লাগিয়ে নিঃশ্বাস নেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪০ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৫